/anm-bengali/media/media_files/2025/06/02/Vyvw25vpi2nnvyXwToit.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি: বন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ মেদিনীপুর শহরে। গাছ কাটায় ব্যবহৃত যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করল মেদিনীপুর রেঞ্জ। ওই গাছের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, কাউন্সিলরের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার ক্ষেত্রে কাউন্সিলর কিভাবে অনুমতি দিতে পারেন? শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপি।
ঘটনাটি রবিবার সকালে মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরের চৌধুরী পুকুরপাড় এলাকার। ওই পুকুরপাড়ে বেশ কিছু মেহগিনি গাছ রয়েছে। সেই গাছ ঝড়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন গাছের মালিক। তাতে পাশাপাশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বন দপ্তরে গাছ কাটার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার আগেই ছয় থেকে সাতটি গাছ কেটে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মেদিনীপুর রেঞ্জের বন কর্মীরা। গাছ কাটার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং কাটা গাছের গুড়ি বাজেয়াপ্ত করে। গাছের মালিক দিলীপ রায় বলেন, "গাছগুলি অনেকটাই লম্বা হয়ে গিয়েছিল। ঝড়ে যদি কারও বাড়িতে ভেঙে পড়ে, তার দায় আমার উপরই আসবে। কোনো মানুষের মৃত্যু হলে আমি তো মানুষকে ফিরিয়ে দিতে পারব না। আমরা বিষয়টি কাউন্সিলরকে জানাই। কাউন্সিলর অনুমতি দিয়েছেন কাটার। বন দপ্তর কোন লিখিত অনুমতি দেয়নি গাছ কাটার।"
"গাছগুলিতে বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে কাটার অনুমতি দিয়েছিলাম", সাফাই দেন কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ পানিপ্রাহী। তিনি বলেন, "অবৈধভাবে গাছ কাটা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। কিন্তু ওই এলাকার মানুষজন এই গাছগুলি সম্পর্কে একাধিকবার আমাকে জানিয়েছে। যেকোনো সময় বাড়িতে ভেঙে পড়তে পারে। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে তাদের। তারা বন দপ্তর এবং পৌরসভায় আবেদন করেছিল। আমাকেও জানিয়েছিল। আমি জানিয়েছিলাম এভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারি না। গত ঝড়ে তারা খুব অসুবিধায় পড়েছিল। তখন আমি বাড়ির মালিককে জানিয়েছিলাম এই গাছগুলি কাটার ব্যবস্থা করা হোক।"
এই ঘটনায় তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, "ওই পুকুর পাড়ে প্রোমোটিং-এর জন্য শাসকদলের কাউন্সিলর গাছগুলো কেটে ফেলার চেষ্টা করছে। এটাতে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রশাসন ঘুমোচ্ছে, তাই তৃণমূলের নেতারা এই অবৈধ কাজকর্ম করছে।" বিজেপির জেলা নেতা শংকর গুছাইত বলেন, "ওখানকার তৃণমূলের কাউন্সিলরের সহযোগিতায় অবৈধভাবে গাছগুলি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এদের চক্রান্ত রয়েছে ওই চৌধুরী পুকুর পাড় প্রোমোটারের হাতে বিক্রি করার। আমি জেলা শাসক এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ই-মেইল মারফত অভিযোগ জানিয়েছে।" পৌরসভা এবং বন দপ্তরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন। কোনো বৈধ কাগজপত্র জমা দেননি। যে কারণেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক শান্তনু কুলভী বলেন, "অবৈধভাবে এক ব্যক্তি গাছ কেটেছেন। গাছ কাটার যন্ত্রাংশ এবং গাছের গুড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us