নার্সিংহোম তৈরির কাজে বাধা, কাঠগড়ায় INTTUC-র সভাপতি ও মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। এবার নার্সিংহোম তৈরির কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল সবং ব্লক তৃণমূলের INTTUC-র ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় INTTUC ব্লক সভাপতি বিপুল মাইতির বিরুদ্ধে সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তেমাথানি লুটুনিয়া এলাকার বাসিন্দা দেবজ্যোতি দাস। অভিযোগে রাজ্যের এক মন্ত্রীর নামও উল্লেখ্য রয়েছে। যদিও বিপুল মাইতি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

দেবজ্যোতি দাস জানান যে ২০০৩ সালে তেমাথানি বাজার সংলগ্ন রাইস মিলের পিছনে ব্যবসাভিত্তিক রং গোডাউন করার জন্য একটি জায়গা কেনেন। পাকা বাড়িও বাবান। কিন্তু ব্যবসায় মন্দা চলায় একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে বাড়িটি ভাড়া দেন। চুক্তি মত ওই বাড়িতে নার্সিংহোম করার জন্য কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ তৃণমূলের ব্লক INTTCU-র সভাপতি নার্সিংহোমের কাজ চলাকালীন হুমকি দেন কাজ করা যাবে না এবং মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর ফের চালু করতে গেলে আবারও হুমকি দেওয়া হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে। ঘটনার পর দেবজ্যোতি দাস ও তা বাবা-মা ওই মন্ত্রীর কাছে একাধিকবার দেখা করতে যান। কিন্তু মন্ত্রী নাকি দেবজ্যোতির পরিবারের কথায় কোনও কর্ণপাত করেননি। উপরন্তু তাদেরকে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় অসুস্থ বাবা-মা ও ছেলে-স্ত্রীকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দেবজ্যোতি বাবু। তিনি আরো জানান যে ব্যবসার আগের মতো চলছে না। এরপরে তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। অন্যদিকে দেবজ্যোতি দাসের মা সন্ধ্যা দাস বলেন, "একটাই ছেলে। ওই ব্যবসার উপর সংসার চলে। যদিও বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হল তো তৃণমূল নেতা বিপুল মাইতি হুমকি দিয়ে নার্সিংহোম তৈরির কাজ বন্ধ রেখেছে।  এই নিয়ে মন্ত্রীর কাছে একাধিকবার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে হাজির হয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের কথার কোনও কর্ণপাত করেননি। এমত অবস্থায় আমার ছেলে কি করবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ওই মন্ত্রীর  নির্দেশে তৃণমূল নেতারা এসব কাজ করছে। আমরা চাইছি একটা সুস্থ সমাধান হোক এবং নার্সিংহোম হোক। কিন্তু ওঁরা নার্সিংহোম করতে দেবেন না"।  এদিকে তৃণমূল নেতা বিপুল মাইতি বলেন, "এই ঘটনার বিষয়ে কোনও কিছু জানা নেই। বাধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে। ওখানে আমাদের কোনও জায়গাও নেই। আমাদের কোনও দরকার নেই বাধা দেওয়ার। বাধা দিতে যাব কেন? এলাকায় নার্সিংহোম হলে তো আমাদেরই সুবিধা"।

অপরদিকে যেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস রঞ্জন ভূঁইয়াকে সোমবার দিনভর ফোনে যোগাযোগ করলেও কোনও উত্তরই পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে।