নিজস্ব সংবাদদাতা: ৬১ দিনের মাথায় নিষ্পত্তি হল কুলতলি মামলার। অবশেষে দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনালো আদালত। কোথাও গিয়ে আজ একটু স্বস্তি পেল সাত বছরের নাবালিকার অসহায় মা-বাবা।
আরজি কর মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। ছুটির দিন বাদে প্রতিদিনই শিয়ালদাহ কোর্টে চলছে শুনানি। অথচ ৯ আগস্ট ঘটা সেই ঘটনাটার কিছুদিন পরই ৪ অক্টোবর কুলতলিতে ঘটে আরও এক হাড়হিম করা ঘটনা। ৭ বছরের এক নাবালিকাকে পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে অভিযুক্ত যুবক। এরপরই গর্জে ওঠে জয়নগর। তাঁদের মেয়ের বিচার চাই। এমনকি ‘জয়নগর থেকে আরজি কর, বিচার চাই একটাই স্বর’, এমন স্লোগানও শোনা যায়।
/anm-bengali/media/media_files/2024/12/06/UY6iGvkOkJ8RiQo1tGlW.webp)
এরপর গত ৫ অক্টোবর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৭ অক্টোবর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিট গঠন হয়। এরপর শুরু হয় শুনানি। গত ৩০ অক্টোবর, মাত্র ২৫ দিনের মাথায় জমা পড়ে চার্জশিট। এরপর চলছিল বিচার প্রক্রিয়া। আর ঠিক ৬১ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্তকে। আর আজ তাঁকে শোনানো হল ফাঁসির সাজা। পুলিশের তৎপরতায় শেষ হল এই মামলা। একই সাথে নাবালিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা।
যদিও দোষী মুস্তাকিন সর্দার আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করেছে যে, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, তাঁর কোনও দোষ নেই। কিন্তু আদালত তাঁর সেই কথায় কোনও মান্যতা দেয়নি। কেননা পুলিশের দাখিল করা সব কটি প্রমাণ, সাক্ষী দোষীর বিরুদ্ধেই গিয়েছে। এমনকি মেডিক্যাল রিপোর্টেও স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে ধর্ষণ ও খুনের। তাই তথ্য, প্রমাণ, সাক্ষী সবই তাঁর বিরুদ্ধে গেছে। তাই এদিন এই মামলাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে বারুইপুর পকসো আদালতের বিচারক মুস্তাকিন সর্দারকে সাজা শোনালো।
/anm-bengali/media/media_files/aReiTWwxKsGCEuPyXPMH.JPG)