/anm-bengali/media/media_files/RUoJF91lz90wJSgO1kQK.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ এ এক অন্য বিপ্লবীদের পুজোর কাহিনী। বিদেশী দ্রব্য বর্জন করে স্বদেশী দ্রব্য গ্রহণ করে আজও আদি কর্ণেল গোলার মা, স্বদেশী অলংকারে ভূষিত হন। মাতৃ আরাধনার মূল উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন তরুণ বিপ্লবীদের ঐক্যবদ্ধ করা। এবারেও পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রেখেছে কর্নেল গোলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। এরই সঙ্গে বিদ্রোহীনি রানী শিরোমনি স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর সেনা বীরসা মুন্ডার স্মরণিকা এবং সুপ্রিম কোর্টের আড়াইশো বছর প্রতি স্মরণে সত্যমেব জয়তে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে পুজো কমিটির সদস্য ও তীর্থঙ্কর ভকত বলেন," পুজো যেভাবে তৎকালীন সময়ে বিপ্লবীরা শুরু করেছিলেন ঠিক সেই ভাবেই আমাদের হয়ে আসছে। আমাদের মা স্বদেশী অলংকারে ভূষিত হন। মূলত তৎকালীন সময় বিপ্লবীদের একজোট হওয়ার জন্য যে পুজো আজও মানুষের মনে সাড়া ফেলে,জাঁকজমক ভাবে আমাদের পুজো হয়। ''
ব্রিটিশ সরকার মেদিনীপুর শহরে বিপ্লবীদের দমন করতে ১৮০০ অতিরিক্ত পাঠান সেনা নিয়োগ করেছিল এবং সেই পাঠান সেনার দায়ভার বাবদ ৬৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত কর এই মেদিনীপুর বাসীর উপর চাপিয়ে দিয়েছিল।এরকম আপাত কল্পনাতিত জটিল পরিস্থিতিতে ব্যারিস্টার বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুগামী দেবেন্দ্র লাল খান, ব্যারিস্টার ক্ষীরোদ বিহারী দত্ত,কিশোর পতি রায়,অক্ষয় দাসগুপ্ত প্রমুখ দিকপাল স্বদেশী নেতাও স্বাধীনতা সংগ্রামী পৃষ্ঠপোষকতায় ব্রাহ্মসমাজ মন্দির কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিমল দাশগুপ্তের মতো শহরে কিছু উৎসাহী বিপ্লবী যুবকের প্রচেষ্টায় শুরু হয়েছিল এই বিপ্লবীদের প্রাণকেন্দ্র।
/anm-bengali/media/media_files/IDr7qHH9jW6HANFJT3iu.png)
/anm-bengali/media/media_files/BlYVrcRrHcmy2TkOPpJz.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us