মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি অধীরের! অনুরোধ, পাশে দাঁড়ানোর

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। কী লিখলেন তিনি?

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
zzzzzzzzzz

ফাইল ছবি



নিজস্ব সংবাদদাতা :  একদিকে নিম্নচাপ, অন্যদিকে ডিভিসি জল ছাড়ায় প্লাবিত বাংলার একের পর এক গ্রাম। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে জেলায় জেলায়। ঘর-বাড়ির ভেতরেও হাঁটু জল। জলের তলায় যোগাযোগের রাস্তা, ব্রিজ, বিস্তীর্ণ চাষের জমি। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো জলবন্দি হয়ে পড়ায় কাজে যেতে পারছেন না। পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। জেলায় জেলায় অসহায়তার ছবি ধরা পড়ছে। পুজোর মুখে মাথার ওপর ছাদ হারিয়ে অনেকেরই ঠিকানা এখন ত্রাণ শিবির। আর এবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

North Bengal floods: 1 killed, 11 missing, over 5,000 displaced

ডিভিসির জল ছাড়ার পর রাজ্যে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে ম্যান মেড বন্যা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধীর চিঠিতে লেখেন, বন্যার কারণ যাই হোক না কেন, প্রাকৃতিক কারণ বা মানুষের সৃষ্টি, সেটা বিচার করার সময় এটা নয়। মানুষ বিপদে পড়েছে। তাদের সাহায্য করাটাই প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। সর্বোপরি তিনি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

West Bengal public health engineering department | Bengal floods: Severe  drinking water scarcity in three districts - Telegraph India

চিঠিতে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন,''পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। প্রিন্ট মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, এই সাত জেলার চার লাখ হেক্টরের বেশি কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সূত্র অনুসারে, এই জেলাগুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩-এ দাঁড়িয়েছে। অনেক রাস্তায় হাঁটু জল। অনেকেই তাদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছে না।  বৃষ্টিপাত বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।একে অপরের কাঁধে দোষ চাপানোর এবং বন্যার কারণগুলির বিচার করার সময় নয়। বন্যার জন্য "মানবসৃষ্ট" বা "ঈশ্বর-সৃষ্ট" কারণ নিয়ে বিতর্ককে একপাশে রেখে আমাদের উচিত ক্ষতিগ্রস্থ ভাইদের উদ্ধার করার, তাদের খাবার, পানীয় জল এবং ওষুধ দেওয়ার সময় মতভেদ ভুলে যাওয়া। আমাদের প্রত্যেককে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে মানুষ, যখন বিপদে পড়ে, তখন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত তাদের সাহায্য করা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ প্রদানের জন্য তাদের নিজ নিজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থানগুলিকে সর্বাধিক প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপরোক্ত পরিপ্রেক্ষিতে, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।''