সচেতনতায় সফল, রক্তপাতহীন শিকার উৎসব

রক্তপাতহীন শিকার উৎসব পালন হল।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
x

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত একমাস ধরে চেষ্টা ছিল শিকার উৎসবকে রক্তপাতহীন করার। সেই চেষ্টায় সফলতা মিললো বন দপ্তরের। বুধবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামশোলে ছিল শিকারের নির্দিষ্ট দিন। যেখানে ভিন জেলা থেকেও শিকারিরা যোগ দেন। শিকার উৎসব উপলক্ষে ওই এলাকায় এক প্রকার মেলা বসে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ৪০ টি এলাকায় নাকা পয়েন্ট করে পুলিশ ও বন কর্মীরা। সামিল হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও। সেই নাকা এড়িয়ে জঙ্গল পথ দিয়ে এদিন বেশ কিছু শিকারি প্রবেশ করে। যার ফলে বন দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয়। তবে বিগত বছরগুলির থেকে অনেকটাই কম শিকারি ছিল এদিন। বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে শিকার উৎসবের বহু আগে থেকেই আদিবাসী সমাজের মোড়ল, যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যদের এবং স্কুলগুলিতেও প্রচার চালিয়েছিল বন দপ্তর। বার্তা দিয়েছিল, বন্যপ্রাণ হত্যা না করে পরিবেশ রক্ষার। আর তাতেই সফলতা মিলেছে বলে দাবি বন দপ্তরের। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন, "মানুষজনকে সচেতন করার ফলে বন্যপ্রাণ হত্যা আটকানো গিয়েছে। আরও সচেতনতায় জোর দেওয়া হবে।"

এদিন সকাল থেকেই জঙ্গলে টহল দেন মেদিনীপুর বন বিভাগের এডিএফও শুভাশিস ঘোষ, কানু চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন রেঞ্জের রেঞ্জার ও বনকর্মীরা। বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে শিকারিদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে। যদিও শিকারিদের দাবি, তারা বছরে একবার আসেন এই জঙ্গলে। বন্যপ্রাণ হত্যা না করে জঙ্গলে ঘুরে জমায়েত স্থানে উৎসব পালন করবে বলে জানিয়েছে বন আধিকারিকদের। বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে বন দপ্তরের পাশাপাশি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেচার ক্যাম্পের পড়ুয়া এবং অধ্যাপিকা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'হিল', 'উলফ' ও 'মাসা'র সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 'হিল'-এর পক্ষ থেকে শুভ্রজ্যোতি চ্যাটার্জী বলেন, "বন দপ্তর তার ক্ষমতানুযায়ী কাজ করলেও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট আমরা। তবে আগের থেকে শিকারির সংখ্যাও অনেক কমেছে। বন্যপ্রাণ হত্যার ছবি ধরা পড়েনি।" তবে এই সফলতার পেছনে আদিবাসী সমাজের মোড়লদের যে বড় ভূমিকা রয়েছে তা মানছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ডিএফও দীপক এম বলেন, " সাইকেল র‍্যালি, আদিবাসী সমাজের মোড়ল, যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যদের থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া সর্বত্রই আমরা বিভিন্ন ভাবে সচেতনতার প্রচার করেছিলাম। মানুষজন দেখেছেন বন দপ্তর সর্বদা চেষ্টা করে গিয়েছে। তারা সচেতন হচ্ছেন। বিগত দিনের থেকে এবারে অনেক সংখ্যক কম শিকারি ছিলেন। আগামী দিনে আরও কম হবে। এদিন কোনো বন্যপ্রাণ শিকার হয়নি। স্কুল পড়ুয়াদেরও আগামী ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর করে তোলার জন্য পরিবেশ সচেতনতায় জোর দেওয়া হবে।"

Add 1

k