/anm-bengali/media/media_files/MrIyqwTEXKFQuFfeld6H.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক অভাবে WBCS, PSC পরীক্ষার কোচিং নিতে পারছিলেন না এলাকার যুবক-যুবতীরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন থানার ওসি। নিজের উদ্যোগে ওই এলাকায় চলছে ফ্রি কোচিং সেন্টার। এর নাম দেওয়া হয়েছে "গড়বেতা WBCS কোচিং সেন্টার"। শুরুটা করেছিলেন তৎকালীন গড়বেতা-১ বিডিও ওয়াসিম রেজা। তাঁর বদলির পর দুশ্চিন্তা ছিল ওই কোচিং সেন্টারের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যুবক-যুবতীদের। সেই দুশ্চিন্তা দূর করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গড়বেতা থানার ওসি ডঃ প্রণব কুমার সেনাপতি। নিজের উদ্যোগে গত ২ বছর ধরে ওই কোচিং সেন্টার চলছে রমরমিয়ে। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৫ জন। পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC) মিসেলেনিয়াস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি (প্রিলিমস) ফল প্রকাশিত হয়েছে ১৬ জুলাই। তাতে সাফল্য পেয়েছে ওই কোচিং সেন্টারের বেশ কিছু পড়ুয়া। সোনালী তামাং, ঋত্বিক নিয়োগী, সৌভিক নিয়োগী, পলাশ ঘোষ, সৌরভ হাজরা, তুহিন শুভ্র খান পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ওসি নিজে ছাড়াও আরও কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ওই কোচিং সেন্টারে শিক্ষাদান করেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওই কোচিং সেন্টারটি চলে। খড়গপুর গ্রামীণেও এমন কোচিং সেন্টার চালান তিনি। ওসি একবার নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন যে গরিব দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবেই এই ধরনের কোচিং সেন্টার তিনি পরিচালনা করেন। ওসির মানবিক ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী। প্রণব বাবু বলেন, "কোচিং শুরু করেছিলেন আগের বিডিও স্যার। স্যারের বদলির পর আমি দায়িত্ব নিই। বর্তমানে ২৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এবারে ৬ জন পাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC) মিসেলেনিয়াস প্রিলিমস পরীক্ষায়। পড়ুয়াদের আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করি। পড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এক-একদিন ওখানেই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয় পড়ুয়াদের জন্য"। প্রণব বাবুর ইচ্ছে, ওই এলাকার যুবক-যুবতীরা একদিন জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিডিও সাহেব হয়ে উঠুক।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/18/whatsapp-image-2025-07-18-2025-07-18-21-38-00.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us