/anm-bengali/media/media_files/2025/10/08/whatsapp-image-2025-10-08-2025-10-08-18-29-25.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, জঙ্গলমহল: সঙ্গিনী কার হবে তাকে কেন্দ্র করে লড়াই জঙ্গলমহলে। এর ছেড়ে দীর্ঘক্ষণ রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তার দু'দিকে দাঁড়িয়ে পড়ে যানবাহন। লড়াই দেখতে হাজির কয়েকশ মানুষ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর রঞ্জা এলাকার।
বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ পিড়াকাটা-গোয়ালতোড় সড়কের রঞ্জা এলাকায় রাস্তার ওপরই ২ দাঁতালকে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। টানা ২ ঘণ্টা ধরে কখনও জঙ্গলে আবার কখনও রাস্তার উপর লড়তে থাকে তারা। রাস্তার পাশে থাকা গাছ ভেঙে ফেলে দেয় রাস্তার উপরে। এইভাবে দীর্ঘক্ষণ চলার পর অবশেষে বনদফতরের কর্মীরা হাতি দুটিকে গভীর জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছিল এলাকায়। স্কুল এবং অফিসের সময়ে ব্যস্ত রাস্তায় দাঁতালের দাপাদাপি ঘিরে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। বাস যাত্রীদের মাঝ রাস্তায় আটকে থাকতে হয়েছে।
কেন এই লড়াই? বনদফতর জানিয়েছে, সঙ্গিনীর জন্য হাতিদের এই লড়াই হয়। এখন হাতিদের সঙ্গমের সময়। একই দলে ২-৩টি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হাতি থাকলে সঙ্গিনীর খোঁজে এমন লড়াই প্রায়ই হয়ে থাকে যাকে মাস্ত (Musth) বলে। হাতির প্রজনন হরমোনের তীব্রতা বৃদ্ধির পেলে মাথার পাশে অবস্থিত তাদের টেম্পোরাল গ্রন্থি থেকে টেম্পোরিন নামক তরল পদার্থের প্রচুর পরিমাণে নিঃসরণ ঘটে। ওই সময় হাতিদের অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় এবং আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। পিড়াকাটা রেঞ্জ আধিকারিক শুভজিৎ দাস বলেন, "দলের আধিপত্য দখলের লড়াই নয়। হাতিদের সঙ্গিনীর খোঁজেই মূলত লড়াই। প্রায় ২ ঘণ্টা হাতিদের জন্য রাস্তা অবরুদ্ধ ছিল। পরে বনকর্মীরা হাতি ২টিকে গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। ওই হাতি ২টি দলের মধ্যেই ছিল। তারা নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের জেরে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে"।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/08/whatsapp-image-2025-10-08-2025-10-08-18-29-45.jpeg)
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/diguad-2025-10-07-20-06-04.jpg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us