পার্টি অফিসের এ কী হাল!

পার্টি অফিস নাকি যুদ্ধক্ষেত্র! দেখে বোঝার উপায় নেই। ভাংচুর যে চলেছে তা স্পষ্ট। পড়ে রয়েছে ছেঁড়া দলীয় পতাকা। ব্যাপক অশান্তির ঘটনায় উত্তেজনা অন্ডালে। বাম ও তৃণমূল সংঘর্ষে চড়ছে পারদ।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
৪৫৬

নিজস্ব প্রতিনিধি, অন্ডাল :   শান্তিপূর্ণ ভোট তো দূর, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্যে অব্যাহত রইলো অশান্তি। শুধু তাই নয় পরের দিনেও একই ছবি। এবার   ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল অন্ডালের কাজোড়া এলাকা। শনিবার ৮ জুলাই ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঝরেছে রক্ত। উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগও।
ভোট পর্ব শেষ হতেই অন্ডালের কাজোরা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলো। শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, কাজোড়া এলাকার সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকরা ১১৭ ও ১৮ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল। তাদের বুথ দখলের চেষ্টায় বাধা দিতেই তৃণমূলের কার্যালয় ভাংচুর এবং তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ। পাশাপাশি অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিআইএমের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়। এলাকার সিপিআইএম নেতা তুফান মন্ডল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ''সিপিআইএমের লোকেরা বুথ দখল করেনি। বুথ দখল করছিল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের সেই বুথ দখলের বাধা দিতেই সিপিআইএমের লোকেদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।'' বুথের বাইরে সিপিআইএম-তৃণমূল বচসায় জড়ায়। বচসা  হাতাহাতিতে গড়ায়। তুফান বাবু জানান, ''তৃণমূলের লোকেদের দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করলে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে সিপিআইএমের লোকজনদের ওপর। পরে প্রচুর সংখ্যক সিপিআইএম কর্মী সমর্থক জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মীদের প্রতিরোধ করে সিপিআইএমের প্রতিরোধের মুখে পড়ে, সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয় তৃণমূল কর্মীরা।''এরপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়ে সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএম নেতা তুফান মন্ডল।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর। কাজোরা এলাকার ১১৭ ও ১৮ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী চন্দন সিং জানান, ১১৭ ও ১৮ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল সিপিআইএম নেতাকর্মীরা। তাদের বুথ দখলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতেই প্রতি হিংসায় সিপিআইএমের বহু সংখ্যক দুষ্কৃতী এসে তৃণমূলের তিনটি দলীয় কার্যালয় এবং তার বাড়িতে গাড়ি হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র এবং ভেঙে ফেলে টিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি এলাকায় বোমাবাজি করে সিপিআইএম দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ তৃণমূলের।ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থলে আসে অন্ডাল থানার প্রচুর পুলিশ বাহিনী। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও । চন্দন বাবুর অভিযোগ, সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেয়েছে বহু তৃণমূল কর্মী,মার খেয়েছে তার ভাইও,বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন । এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থাকায় ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ পিকেট।