/anm-bengali/media/media_files/advrcRWKiyymAs5McFf5.jpg)
ফাইল ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা : দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চলছে শেষ পর্বের প্রচার। আর বেশি সময় নেই হাতে। প্রচারের ফাঁকেই উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন দক্ষিণবঙ্গের কালারফুল বিধায়ক মদন মিত্র। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করেন কামারহাটির বিধায়ক। তবে এটাই প্রথমবার নয়। রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত যখনই তুঙ্গে ওঠে তখনই চাচাছোলা ভাষায় তাকে বিদ্ধ করেন শাসক দলের নেতারা। এবারে মদন সুর চড়িয়ে বলেন, ''রাজভবনকে অপবিত্র করছেন রাজ্যপাল। আমাদের উচিত পঞ্চায়েত ভোটের পর কর্পোরেশনের বড় পাইপ নিয়ে গিয়ে গঙ্গার জল দিয়ে রাজভবন ধোওয়া উচিত। ওখানে বসে পিস হাউজের নামে হিংসা ছড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল পিস রুমের নামে হিংসা ছড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল বা কেন্দ্রীয় বাহিনী শেষ কথা বলবে না, সিদ্ধান্ত নেবে বাংলার মানুষ।''
/anm-bengali/media/media_files/ZtPlEsz5nyEEPd3iErHK.jpg)
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্লোগান ছিল 'খেলা হবে'। এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই খেলা শেষ করে দিলেন মদন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও সুর চড়িয়েছেন তিনি। প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশে আস্থা ছিল সরকার ও কমিশনের। এদিকে বাহিনী চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। অশান্তির প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের নির্দেশেই বঙ্গে পা রেখেছে বাহিনী। বাহিনী নিয়ে ডামাডোলের মাঝে দেরিতে হলেও বোধদয় হয়েছে মদন মিত্রের। তার মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনীতে যে টাকা নষ্ট হচ্ছে তাতে ডিএর টাকা ধাপে ধাপে দিয়ে দেওয়া যেত। ডিএ কর্মীদের কথা ভেবেছেন তিনি। হকের ডিএর দাবিতে বৃহৎ আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা এই মহানগরী। রাস্তায় নেমে দীর্ঘদিন ধরে অনশন, আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। এবার তাদের কথা চিন্তা করতে দেখা গেল মদনকে। তবে কি রাজ্যের বিপরীতে কথাটা বললেন? মদনের বেফাঁস মন্তব্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও দলের অনেক সিদ্ধান্তের বিপরীতেই মত প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিক থেকে মদন মিত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে বিজেপির দিলীপ ঘোষেরও। দুজনেরই স্পষ্ট কথায় কষ্ট হয় না। এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে মদন বলেছেন, ''কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়ে দিক না। এত নাটকের কী আছে?ক্ষমতা আছে, তাই এইসব করছে।''
/anm-bengali/media/media_files/gIrxbWC63UmUXXGlVLdx.jpg)
/anm-bengali/media/media_files/QD14I2SULIGOWeXBQoNK.jpg)
নির্বাচনী প্রচারে শাসক-বিরোধী একে অপরকে দোষারোপ করা থেকে চলছে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূল সরকার কিছু করেনি বলে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জলপাইগুড়িতে রয়েছেন মদন। যেখানে চা শ্রমিকদের উন্নয়ন নিয়েও চলছে দড়ি টানাটানি। এবার পাল্টা দিলেন মদন। বলেন, 'তৃণমূল চোর কী ডাকাত সেটা কয়েকদিন বাদেই বুঝতে পারবেন। একটু অপেক্ষা করুন না। মানুষ তৃণমূলকে চোর ভাবে না গদ্দারদের বিরুদ্ধে ভোট দেয় সেটা প্রমাণ হবে। শুভেন্দুর মতো লোক ১১ তারিখের পর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবে না।'
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us