অশান্তি-বাহিনী-বিজেপি! ধুইয়ে দিলেন কুণাল

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা জেলায় জেলায়। একের পর এক অশান্তির ঘটনা। হামলা-মৃত্যু-বুথ লুট-ছাপ্পার অভিযোগ। একের পর এক ট্যুইট শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
1243

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। সেই অশান্তি ভোটের দিনেও জারি রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সব বুথে। ভরসা পুলিশই। একের পর এক অশান্তির ঘটনায় ঝরছে রক্ত। ঘটছে প্রাণহানি। আর এই তপ্ত আবহে একের পর এক ট্যুইটে ঝড় তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়িতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'নদিয়ার হাঁসখালি-২ ব্লকে আমাদের জিপিএম প্রার্থী সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গুন্ডাদের দ্বারা জঘন্য হামলার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপি যে নিরলস সহিংসতা চালাচ্ছে তা আমাদের গণতন্ত্রের উপর এক নির্লজ্জ এবং ভয়ঙ্কর আক্রমণ। প্রার্থীদের বাড়িঘর ভাংচুরের নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।'

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কুণাল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে  বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। কুণালের কথায়, মেরুদণ্ডহীন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভূমিকা একেবারেই হতাশাজনক। নিরপরাধ লোকেরা এই নৃশংস হামলার শিকার হওয়ার কারণে নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে আছে। নির্বাচনী নৈতিকতার প্রতি এই স্পষ্ট অবজ্ঞা একটি ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতা।

নদিয়ার চাপড়ায় কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের সংঘর্ষে ভোট সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত কর্মী।  নদিয়ায় দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটছে সকাল থেকেই। এছাড়াও হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর, দুর্গাপুর-সবজায়গাতেই অশান্তি। ট্যুইটারে কুণাল আতঙ্কিত না হয়ে ভোটারদের ভোট দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ''মিডিয়ার একাংশের আতঙ্ক বিপণনে প্রভাবিত হবেন না। ভোট দিয়ে আসুন। ৭৩ হাজার বুথে মোটের উপর অবাধ, উৎসবে ভোট। কিছু মাত্র বুথে তৃণমূলকে কে লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। আমাদের তিন কর্মী নিহত। এই দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিছু মিডিয়া। ভয় পাবেন না। নিজের ভোট নিজে দিন।''

তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেখানে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে অশান্তির তৃণমূল মুখপাত্র সেখানে বার্তা দিয়েছেন নিজের ভোট নিজে দেওয়ার। এদিকে দেদার ছাপ্পা চলছে বলে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। ভোট কতটা অবাধ হচ্ছে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে ভয় না পেতে বললেও কি ভয় চলে যায়? ভোটের দিন যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা জারি থাকলো তাতে ফল ঘোষণার দিন কি হবে? কে করবে পঞ্চায়েত দখল? উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।