কেন এত ধীরে চলছে দুর্নীতির তদন্ত? প্রকাশ্যে 'ভয়াবহ' কারণ

নিয়োগ দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার বেশ কিছু চলছে বাংলায়। তবে তার মধ্যে উঠে এলো একটা বড় কারণ যে কেন এখনও মামলা কোনও গতি পাচ্ছে না। এখানে ক্লিক করে জেনে নিন সেই আপডেট।

New Update
arpitam

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২২ থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে ২০২৩ শেষ হতে চলল। এক বছরেরও বেশি সময় থেকে রাজ্যে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। গত বছর জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই থেকে দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই।

পার্থের পর এই মামলায় একে একে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের বহু নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের আধিকারিককেও। এখনও জারি রয়েছে সেই তদন্ত। নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচটি মামলার তদন্ত এখন জারি রয়েছে। তাতে প্রয়োজন অনেক দক্ষ অফিসার। কিছুদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অফিসারের অভাবের কথা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে জানায় ইডি। এবার সেই একই সমস্যায় আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বহু বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একাধিক বিচারক। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। সব মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে গেছে সিবিআই। বর্তমানে শিক্ষক কেলেঙ্কারির পাঁচটি মামলার তদন্ত জারি রয়েছে। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এই মামলায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলে সিটের ওপর। সিটের দায়িত্বে পাঁচজন সিবিআই অফিসার। পাঁচটি মামলার তদন্তে ৫ অফিসারই নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ফলে কাজের অত্যাধিক চাপ এবং অতিরিক্ত কোনও অফিসার না থাকায় তদন্ত ঠিক এগোচ্ছে না।

বর্তমানে এই মুহূর্তে কলকাতার নিজাম প্যালেসের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে মোট ২২ জন অফিসার নিযুক্ত আছেন। কিন্তু ২২ জন থাকলেও বিশেষভাবে গঠিত সিট এর সদস্য ছাড়া অন্য কেউ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এগোতে পারবে না। নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচটি মামলার তদন্ত বাংলায় হচ্ছে। ওদিকে সিট এর অফিসার সংখ্যাও আবার পাঁচ। এক একজন অফিসার একটা গোটা মামলা সামলাচ্ছেন। তার উপর ১৪ দিন অন্তর আদালতে হাজিরা, মামলা সংক্রান্ত ডেস্কের কাজ, তথ্য সংগ্রহ, প্রয়োজন বিশেষে ব্রাঞ্চের কাজও তাঁদেরকেই করতে হচ্ছে।

hiring.jpg