পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন! খুশির খবর

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় এক বছর ধরে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বারবার আবেদন করলেও জামিন পাচ্ছেন না তিনি। এবার এক বড় আপডেট এল।

New Update
partha2

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক বছরের বন্দিদশা পেরিয়ে অবশেষে কি জামিন পেতে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? দিল্লি থেকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়তে আসছেন আইনজীবী শামসুদ্দিন শামস। বেশ কিছু বছর ইডির আইন বিভাগের সবার উপরে ছিলেন তিনি। যে কোনও আর্থিক মামলায় ইডি কী আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে তা জানতে তাঁরই দ্বারস্থ হতে হতো ইডির আধিকারিকদের। এবার তিনিই ইডির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন পার্থর হয়ে। সুপ্রিমকোর্ট তো বটেই, এমনকী হাইকোর্টেও নাকি তিনি লড়েছেন। জানা গেছে যে পার্থর হয়ে সওয়াল করা কলকাতার আইনজীবীদের সঙ্গে দফায় দফায় অনলাইনে আলোচনা করছেন শামসুদ্দিন শামস।

আইনজীবী মহল মনে করছে যে যে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এই আইনজীবী, তাতে তাঁকে যদি পার্থর তরফে দাঁড় করানো হয়, তাঁর কথার মারপ্যাঁচ অনেকটাই অন্যরকম ও প্রভাব বিস্তারকারী হবে। কারণ তিনি তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের ধরন সম্পর্কেই অনেকটাই অভিজ্ঞ আগে থেকে। ইডি ভবিষ্যতে পার্থকে নিয়ে কী ভাবছে, তাঁকে কোনও পথে চাপে রাখতে পারেন আধিকারিকরা, সেই সম্পর্কেই একটা ইঙ্গিত পেতে পারেন আইনজীবী নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। তাঁর সওয়াল-জবাব থেকেই জামিন পেতে অনেকটাই সুবিধা হতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এর আগে দেখা গিয়েছে যে জামিন চেয়ে রীতিমতো বিচারকের সামনে কেঁদে ফেলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'আমাকে জামিন দিন। আমার শরীর আর দিচ্ছে না'। তবে বারবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়েছে যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি পুরোটাই সুপরিকল্পিত। আর তাঁর মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং। আইনজীবী দাবি করেন যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।

গত বছর ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়িতে ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে। তারপর থেকেই তিনি বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু জামিন কি মিলবে? তবে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বার বার আবেদন করেও জামিন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের সওয়াল-জবাবে বিভিন্ন সময় একাধিক আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে তাঁর পক্ষ থেকে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন পেতে মরিয়া হয়ে শেষ পর্যন্ত ইডির হয়ে মামলা লড়া এক আইনজীবীর উপরেই ভরসা করলেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।