স্বপ্নদীপের মৃত্যুর রাতে পৌনে বারোটায় কার ফোন? এল বিস্ফোরক তথ্য

যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে এর কারণ নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। আর তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে আরো এক প্রাক্তন ছাত্র জয়দীপকে। সে নাকি পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয় সেই রাতে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
swapnadeep

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: যাদবপুরে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী নিতে পুলিশকে বাধা দেয় ছাত্র জয়দীপ ঘোষ। আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন সরকারি আইনজীবী। পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ১১ জন আরও জড়িত বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে। তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যাদবপুরে মেন হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা জয়দীপ ঘোষকে। সরকারি আইনজীবী জানান যে হস্টেল ও হাসপাতালে যখন পুলিশ যায় তখন জয়দীপ জখম পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড করতে দেয়নি পুলিশকে। বয়ান নিতে পারলে এই ঘটনায় অন্য দিক খুলে যেত বলে মনে করছে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ জয়দীপ ও তার দল ক্রাইম সিনে ঢুকতেই দিতে চায়নি পুলিশকে। কী ঘটেছিল দেখতে দেওয়াও হয়নি।

জয়দীপ ঘোষকে জেরা করে উঠে এসেছে আরো এক নয়া তথ্য। শোভন মণ্ডল নামের সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুয়া নাকি ফোন করে ডেকেছিল জয়দীপকে। এরপর পুলিশকে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকানো হয়। এই ঘটনায় ১১ জন জড়িত বলে পুলিশের দাবি যাদের এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। জয়দীপ পুলিশি জেরায় জানায় যে ঘটনার রাতে ১১:৪৫- ১১:৫০ এর মধ্যে শোভন মণ্ডল নামের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফোন করে তাকে। পুলিশ ট্যাক্সি চলে যাওয়ার পরে অ্যাম্বুলেন্স দেখে যখন জানতে আসে তখন অভিযোগ, জয়দীপের নির্দেশে গেটের নিরাপত্তারক্ষীরা গেট আটকে দিয়েছিল। ফলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই পারেনি। এমনকি যখন পুলিশ খবর পেয়ে ঢিল ছোড়া দূরত্বতে বেসরকারি হাসপাতালে যায়, অভিযোগ তখন জখম প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকালীন বয়ান নিতে দেওয়া হয়নি পুলিশকে। এই কাজ করেছে ধৃত জয়দীপ। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছেন জয়দীপের জন্য। তিনি জানান যে এই ঘটনায় অন্য কাউকে গ্রেফতার করেনি এখনও পুলিশ। শুধু পাস আউট ছাত্র জয়দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জয়দীপ হস্টেলে থাকত না। পুলিশের কাজে বাঁধাও নাকি সে দেয়নি। এরপরেই ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে জয়দীপ ঘোষ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা। সে বর্তমানে বিক্রমগড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসতেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন পুলিশকে বাধা দিয়েছিল সে।