/anm-bengali/media/media_files/2025/02/07/ucxJ1zheuOIfFs26dRQE.jpg)
ফাইল চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশের, সেনার নয়—মেয়ো রোডে ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙা নিয়ে এভাবেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে কোনও রকম পূর্বাভাস ছাড়াই সেনা আধিকারিকরা এসে তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দেন। ঘটনার পরপরই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সরব হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করছে। তাঁর বক্তব্য, “আর্মিই শুধু বাকি ছিল। আর্মিকেও যদি মিস ইউজ করা হয়, তাহলে সিকিউরিটি কোথায় থাকবে? কোনও সংস্থা কি আছে যারা নিরপেক্ষ? এরা সকলে বিজেপি পক্ষ"। যদিও মমতা জানান, সেনাকে তিনি সম্মান করেন, কিন্তু সেনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি।
মমতার দাবি, সেনার উচিত ছিল আগে তাঁকে জানানো। “আমাকে একটা ফোন করলেই বলতাম। আমি যখন আসছিলাম, তখন আমাকে দেখে প্রায় ২০০ সেনা পালাল। আমি বললাম, তোমরা তো আমার বন্ধু, পালালে কেন?”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/09/01/541473957_1324222572406799_7898405989412156131_n-2025-09-01-21-39-45.jpg)
সেনার যুক্তি, তৃণমূলকে শুধু শনিবার ও রবিবার কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কাঠামোটি রাখা হয়। সেই কারণেই মঞ্চ ভাঙার সিদ্ধান্ত।
এদিন মমতা জানান, তৃণমূল এই প্রোগ্রামের জন্য ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। “অনুমতি ছাড়া ২১ জুলাই করি না। গান্ধীমূর্তির পাদদেশেও করতে দেবেন না? রেড রোডেও করতে দেবেন না নাকি?”—প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবাদের মঞ্চ সরাতে চাইছে। তবে বিকল্প পরিকল্পনার কথাও জানান মমতা। তাঁর বক্তব্য, মেয়ো রোড থেকে সরিয়ে রানি রাসমণি রোডেই নতুন করে মঞ্চ তৈরি হবে। “বিজেপির অনুমতি নিয়ে আমি কোনও কর্মসূচি করব না। আমার অনেক জায়গা আছে"।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us