দিঘা নিয়েও এবার সরকারি নির্দেশিকা, এবছর রথযাত্রা পুরীতে নয়, দিঘাতেই কাটাতে হবে দলের নেতা-মন্ত্রীদের

দিঘার রথযাত্রা ঘিরেই তৈরি হচ্ছে মূল প্রচার অভিযান।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
digha-jagannath-temple

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রথযাত্রা উপলক্ষে রাজ্যের রাজনীতিতে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। জগন্নাথদেবের পুজো এবার শুধু ভক্তিভাবনাই নয়, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রীতিমতো রাজনৈতিক লড়াইয়ের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। পুরীর রথযাত্রা বনাম দিঘার রথযাত্রা—এই দ্বন্দ্বে এখন দ্বিধাবিভক্ত শাসক দলও।

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে অলিখিত বার্তা দেওয়া হয়েছে, এবারে রথযাত্রায় পুরী নয়, দলের নেতা-কর্মীদের থাকতে হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেই। কারণ, দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির স্থাপন থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজন পর্যন্ত সব কিছুই তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। ফলে দলের দৃষ্টিকোণ থেকে দিঘার রথযাত্রা ঘিরেই তৈরি হচ্ছে মূল প্রচার অভিযান।

এই নিয়ে কাশীপুর বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ বলেন, “ঈশ্বর সর্বত্র। আমি বাড়িতেই জগন্নাথদেবের পুজো করি। উল্টো রথে হয়তো দিঘায় যেতে পারি"।

H5ETJ

এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এবারেই জগন্নাথ মন্দির আমাদের রাজ্যে তৈরি হয়েছে। প্রভু যখন নিজেই আমাদের এখানে এসেছেন, তবে এখানেই দর্শন হবে"।

তবে এই বিষয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এদিন বলেন, “ওনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) কথা তো ফেলবার নয়, তবে দলের সবাই যে সেটা মানে না, সেটাও দেখা যায়"।

রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরীর ধর্মীয় গুরুত্বকে চ্যালেঞ্জ করে দিঘাকে বিকল্প 'তীর্থক্ষেত্র' হিসেবে গড়ে তোলার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। এতে যেমন রাজ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগে দৃষ্টি আকর্ষণ সম্ভব, তেমনই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে পুরীর আধিপত্য নিয়ে 'সাংস্কৃতিক টানাপোড়েন'ও সৃষ্টি করা সম্ভব।