নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কবে ডাকা হচ্ছে? এক্স হ্যান্ডেলে প্রশ্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরের একটি ক্লিপ শেয়ার করেছেন শুভেন্দু। ভিডিওয় মুখ্যমন্ত্রীকে বিদেশ সফরের খরচ সম্পর্কে বলতে শোনা যাচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। তার সঙ্গে একটি ফর্ম ও বিজেপি নেতা ষন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশি তলবের নোটিশও পোস্ট করেছেন বিরোধ দলনেতা।
/anm-bengali/media/post_attachments/wcNyZCUQCkrAoJmz05eO.jpg)
স্পেন সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। তাদের খরচ কে জোগাচ্ছে? রাজ্য সরকারের টাকায় কি ভ্রমণ? এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এবিষয়ে গুজব রটানো হলে আিনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র-সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। মমতার বিদেশ সফরের সঙ্গী সাংবাদিকদের ভ্রমণের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে আরটিআই করেন বিজেপি নেতা ষন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি একজন ইউটিউবারও। সাংবাদিকদের বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে খোঁচা দেওয়ায় তাকে পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয়েছে বলে দাবি। এ নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দুর পোস্টে স্পষ্ট, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টে নগাদ ষন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেয়ার স্ট্রিট থানায় হাজিরা দিতে বলে একটি নোটিশ পাঠানো হয় পুলিশের তরফে। আর এখানেই শুভেন্দু প্রশ্ন করেন লালবাজার ও হেয়ার স্ট্রিট থানার কর্তৃপক্ষকে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কবে লালবাজার বা হেয়ার স্ট্রিট থানায় ডাকা হবে একই কেসে। এই মর্মে শুভেন্দুর দাবি, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে তার কাছে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সহায়তা করতে পারে।
/anm-bengali/media/post_attachments/2E0ZIDgtnqF0B1dGXUjJ.jpg?size=948:533)
শুভেন্দু পোস্টে আরো লেখেন, ষন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তরের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের বিশেষ সচিব ও ই.ও. ডিরেক্টরের অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ তৎপর হয়। এটি শুধুমাত্র যৌক্তিক যে এই বিষয়ে তথ্য বের করার জন্য তাদের অবশ্যই সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য যেতে হবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সম্পূর্ণ তথ্য আছে বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এও উল্লেখ করেছেন পোস্টে,একটি সাধারণ ফেসবুক পোস্ট "শান্তি ভঙ্গ করতে পারে এবং জনসাধারণের অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে"!
/anm-bengali/media/media_files/6ecWwbkVoNxKR36Me1QJ.jpg)
শুভেন্দুর কথায়, ''মামলার প্রকৃত বিবরণে না গিয়ে, আমি বলতে চাই যে, মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে ভুল করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় টিএমসি গুন্ডাদের উস্কানির কারণে বাস্তবে শান্তি ভঙ্গ হলেও পুলিশ খারাপভাবে তা মোকবিল করতে ব্যর্থ হয়েছিল যার ফলে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং শতাধিক গুরুতর আহত হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ দাঁতবিহীন বাঘ হয়ে যায় যখন রাজ্যে শিল্প আকারে অপরিশোধিত বোমা তৈরি করা হয় এবং আবাসিক এলাকার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয় যাতে বাচ্চারা বল ভেবে ভুল করে মারাত্মক আহত হয় এবং কিছু দুর্ভাগ্যজনক ক্ষেত্রে এমনকি খেলতে গিয়ে মারা যায়। কিন্তু পুলিশ যখনই কোনো সাংবাদিকের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় তখনই তাদের দাঁত ও নখ খুঁজে নেয়। রাজ্য সরকার প্রেস, মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি ধর্মযুদ্ধ শুরু করেছে। স্বাধীন ইউটিউবাররা সাধারণত তাদের ক্রোধের সবচেয়ে বেশি সম্মুখীন হয়। তাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হয় এবং হয়রানির হাতিয়ার হল তাদের বিরুদ্ধে অসার মামলা নথিভুক্ত করা।''
শেষে শুভেন্দু বলেন, ''আমি এই বলে শেষ করব যে, ৫ জি- ৬-জির ফ্রি ডেটার যুগ এটা। কনটেন্ট ক্রিয়াটরদেরও যুগ। নির্দেশিকা মানে কিন্তু বল পূর্বক সাবমিশনে বাধ্য করা নয়।মনে রাখবেন রাবণ যখন হনুমানের লেজে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন তার কী হয়েছিল। ইতহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করুন।''