/anm-bengali/media/media_files/2025/04/11/1000185252-123530.webp)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর উৎসবের আবহে গোটা রাজ্য যখন আনন্দে মেতে উঠেছে, তখন চুঁচুড়ার কোদালিয়ার চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে নেমে এসেছে বিষাদের সুর। আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে আগস্ট মাসে আংশিক বেতন পাননি তিনি। আর সেপ্টেম্বর মাসে একেবারেই ঢোকেনি কোনও বেতন। ফলে উৎসবের মরশুমে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন এই শিক্ষক।
সুমন বিশ্বাস জানান, আন্দোলনের কারণে স্কুলে নিয়মিত যেতে না পারায় আগস্ট মাসে তাঁর বেতন থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি কেটে নেওয়া হয়। সেপ্টেম্বরে আবার পুরো বেতনই কেটে নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাজ্যবাসী যখন দুর্গাপুজোর আনন্দে মাতোয়ারা, তখন যোগ্য চাকরিহারা সুমন বিশ্বাসের বাড়িতেই বিষাদের ছায়া”।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। তবে আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতনও পাবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন সুমনও। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার লিখিত পরীক্ষায় বসেছেন তিনি।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/04/07/QN8SFCM4aMXQHJ5Dm5OL.jpg)
তবুও আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনও ইঙ্গিত দেননি এই শিক্ষক। সুমনের অভিযোগ, “আমাদের যোগ্য চাকরি চুরি করে, দুর্নীতি করে কেড়ে না নিলে আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা থাকত না”। তাঁর দাবি, এইভাবে বেতন কেটে নিয়ে সরকার তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে অনাহারে মারার চেষ্টা করছে।
এদিনও তিনি ফের স্পষ্ট বার্তা দেন—আন্দোলন থেকে তিনি সরবেন না। বরং অন্য যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, “যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের আমার অনুরোধ, পুজোর পর আবার আন্দোলনে নামুন”।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us