বাংলার বর্ডারের সাথে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা! দাবি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর

শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপরাষ্ট্র, যা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
angry mamata banerjee

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম, পুরোহিতদের সাথে একটি বৈঠক সারেন। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভৌগোলিক তথ্য বিভ্রাট ঘটালেন তিনি। যা নিয়ে পড়ল শোরগোল!

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে”। অথচ বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে বড় সীমান্ত ভাগ করে, পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে - কিন্তু শ্রীলঙ্কা, একটি দ্বীপরাষ্ট্র, ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বহু দূরে অবস্থিত এবং তার সঙ্গে কোনও রাজ্যের সরাসরি সীমান্ত নেই।

স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “ভূগোল বিশেষজ্ঞ এবং ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, পশ্চিমবঙ্গ এখন শ্রীলঙ্কার সাথেও সীমান্ত ভাগ করে নিচ্ছে! সরিয়ে দেওয়া হোক মানচিত্র - দিদির কল্পনা দক্ষিণ এশিয়াকে নতুন করে আঁকছে”।

Mamata

তিনি আরও বলেন, “যখন একজন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানেন না যে তাঁর রাজ্য কোথায় শেষ হয় এবং কোথা থেকে একটি দ্বীপরাষ্ট্র শুরু হয়, তখন আর কী আশা করা যায়? মমতার বাংলায় তথ্য ঐচ্ছিক, যুক্তি অনুপস্থিত, আর অযোগ্যতা যেন একধরনের যোগ্যতা”।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক সীমান্ত বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যুক্ত, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নয়। শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপরাষ্ট্র, যা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত। বাংলা থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব ২৩৬০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। আর সেই দূরত্বকেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলে দেন সীমান্ত।