বালি পাচারকাণ্ডে এই প্রথম, তদন্তে নামলো ইডি

তাঁর বাড়ি ও গাড়ি থেকে নথি জব্দ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
breaking new 1

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার ভোরেই নড়েচড়ে বসলো ঝাড়গ্রাম, কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলি। বালি পাচারকাণ্ডে এবার সরাসরি তদন্তে নামলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটসকাল থেকেই একযোগে ঝাড়গ্রাম, বেহালা, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে অভিযান চালায় ইডির টিম।

প্রথমে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সুবর্ণরেখা নদীর ধারে তিনতলা বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই বালি পাচারের অভিযোগ উঠছিল। প্রাক্তন ভিলেজ পুলিশ জহিরুল আলি এখন বালি ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি ও গাড়ি থেকে নথি জব্দ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

শুধু ঝাড়গ্রামই নয়, কলকাতার বেহালার জেমস লং সরণীতে ‘জিডি মাইনিং’ নামের এক সংস্থার দপ্তরেও হানা দেয় ইডি। এই সংস্থার আরেকটি অফিস বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে থাকায় সেখানেও অভিযান চলছে। পাশাপাশি কল্যাণী ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সৌরভ রায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

অভিযোগ, সুবর্ণরেখা ও অন্যান্য নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছিল, যা পরিবেশের ভারসাম্যকেও মারাত্মকভাবে নষ্ট করছে। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। অবশেষে মামলার ভিত্তিতে তদন্তে নামে ইডি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। ইডির অন্তত ৪-৫টি টিম একযোগে অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। এখনও চলছে নথি ও সম্পত্তি খতিয়ে দেখার কাজ।