/anm-bengali/media/media_files/HTkjGtgvMhPge7Mnv9aE.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর সপ্তমী সকাল থেকেই শহর ভরে গেছে ভিড়ের ঢল আর রোদঝলমলে আকাশে। তবে প্রশ্ন একটাই—বর্ষাসুরকে কি সত্যিই বধ করেছেন দেবী দুর্গা? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আপাতত ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, কিন্তু নিম্নচাপের ছায়া এখনও কাটেনি।
আজ, ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৯৩ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৩ শতাংশ—ফলে অস্বস্তিকর গরমই সঙ্গী হবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে সপ্তমী ও অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়ও অষ্টমীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/pzGWomSIlyvGsSL4Jqbo.jpg)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত অষ্টমীতে (৩০ সেপ্টেম্বর) ঘনীভূত হবে। এর জেরে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে ১ অক্টোবর, অর্থাৎ নবমীর দিন একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর প্রভাবে নবমী, দশমী ও একাদশীতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। একাদশীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। কলকাতা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে সপ্তমী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দশমীতে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও সিকিমে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। একাদশীতে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পুজোর প্রথম দিকটা রোদে উজ্জ্বল হলেও, নবমী থেকে ফের বৃষ্টির ভ্রূকুটি কলকাতা ও বাংলার নানা পুজোপ্রেমীর উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us