ময়নাতদন্তের ৬-৭ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল প্রীতমের, বলছে প্রাথমিক রিপোর্ট

চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
breaking new 2

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতম মজুমদার ওরফে সৃঞ্জয়-এর মৃত্যুতে কোনও অস্বাভাবিকত্ব খুঁজে পেল না চিকিৎসকেরা। আজ সকালেই তাঁদের নিউটাউনের সাপুরজির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সৃঞ্জয়ের দেহ। প্রথম তাঁর বান্ধবী তাঁকে ওই অবস্থায় দেখেই তাঁর মা রিঙ্কু মজুমদারকে ফোন করেন। তিনিই দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাট থেকে দ্রুত নিজে গাড়ি চালিয়ে আসেন সাপুরজির ফ্ল্যাটে। তারপর তিনি নিজেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ! চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

এরপরই প্রীতমের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিট থেকে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। আর তারপরই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেন ময়নাতদন্তের ৬-৭ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে প্রীতম মজুমদারের। তাঁর মৃত্যুতে আত্মহত্যা বা ফাউল প্লে কোনও কিছুর প্রমাণ মেলেনি। প্রীতমের প্যানক্রিয়াস, লিভার ড্যামেজ হয়েছিল। 

rinku son pritam

চিকিৎসকদের কথায়, তাঁর অ্যাকিউট হ্যামারেজিক প্যানক্রিয়াটিস হয়েছিল। সেখান থেকেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এগুলি হয়। কোনও অস্বাভাবিকতা খুঁজে পায়নি চিকিৎসকেরা। তাঁর শরীরে স্বাভাবিকের থেকে হার্টের মাপ বেশি ছিল, কিডনির মাপ বেশি ছিল এবং লিভারের আকারও বড় ছিল। আর এই ধরনের পরিস্থিতির জন্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রীতম মজুমদার।