/anm-bengali/media/media_files/YjJOajuvAa3mhkc4Fq5n.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সোমবার নির্ধারিতভাবেই হবে নবান্ন অভিযান— এমনই ঘোষণা করেছে 'পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ' সহ একাধিক সংগঠন। হাটের দিনে মঙ্গলাহাট চত্বরে জমায়েত-মিছিল নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। সেই রায়কে সামনে রেখে পুলিশ নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের অবস্থানে অনড়।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় রবিবার জানিয়েছিলেন, “পুলিশ যেখানে আটকাবে, সেখানেই বসে অবস্থান বিক্ষোভে বসব”। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু হবে জমায়েত। সেখান থেকে ফরশোর রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করবেন আন্দোলনকারীরা।
নবান্ন অভিযানের দিন হাট বসে হাওড়ার মঙ্গলাহাট এলাকায়। সেই কারণে সেখানে মিছিল বা জমায়েত হলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে— এই যুক্তিতে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়ে হাটের দিনে ওই এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ করে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/nKEBktf1jtrHzZFK3TDo.webp)
তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, "আমরা কারও ব্যবসায়িক ক্ষতি বা বিপদ ঘটাতে চাই না। শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযান করছি”। তাদের মতে, এই আন্দোলন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াই।
স্বাভাবিক ভাবেই এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। হাওড়া সিটি পুলিশও নবান্ন অভিযান ঠেকাতে পুরোমাত্রায় প্রস্তুত। তিনটি মূল জায়গায় বসানো হয়েছে লোহার ব্যারিকেড। নবান্নে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বন্ধ রাখা হবে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। জলকামান রাখা থাকবে প্রস্তুত অবস্থায়।
আজ হাওড়া হয়ে নবান্নের পথে শুরু হতে চলেছে বিক্ষোভের ঝড়। প্রশাসন বনাম আন্দোলনকারীদের এই সংঘাত ঘিরে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণবঙ্গে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us