Panchayat Polls: এবারের ভোট নিয়ে বড় খবর!

রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে প্রায় ৮৬৩২ জনের নিয়োগ করা হচ্ছে। একাংশ ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়েছেন। ১৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী প্রশক্ষিণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এতো শীঘ্র তাঁদের পাঠানো কি ঠিক হবে ভোটের ময়দানে?

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
votep

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: সবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কেউ প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েছেন আর কেউ আবার ডাকের অপেক্ষায় রয়েছেন। এবার অভিযোগ উঠছে যে এমন অবস্থায় এই পুলিশ কর্মীদেরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ মহল। ভোটের আগে যে কয়েকদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে, তা দিয়েই তাঁদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে যে রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে প্রায় ৮৬৩২ জনকে নিযুক্ত করা হচ্ছে। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়ে দিয়েছেন। ১৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী প্রশক্ষিণের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁদের জন্য। পুলিশ কর্তারা দাবি করছেন যে রাজ্য পুলিশে এখন কর্মীর সংখ্যা সাড়ে ৭৪ হাজার। বাহিনীতে শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে কনস্টেবল পদে ঘাটতি যা রয়েছে সেই সংখ্যাটা প্রায় ৩৩ হাজার। এক পুলিশকর্তা জানান যে ভোটের সময়ে সেই ঘাটতি আরো বেশি করে দেখা দিচ্ছে। তা ঢাকতেই এই সদ্য-নিযুক্তদের ভোটের কাজে ব্যবহারের ভাবনা শুরু করা হয়েছে। এও জানা গেছে যে ভোট মিটলে এই কর্মীদের আবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

কী কী শেখানো হবে এই কর্মীদের? জানা গেছে যে বাহিনীতে কাজে যোগ দিলে প্রথমে ৬ মাস ধরে আইনের পাঠ থেকে দৈহিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের শুরুতেই বাহিনী ভোটের কাজে চলে গেলে ওই নিরবিচ্ছিন্ন প্রশিক্ষণ যেমন মার খাবে তেমনভাবে পুলিশের কাজ সম্পর্কে কিছু না-জেনেই তাঁরা ডিউটিতে যোগ দেবেন বাধ্য হয়ে। শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এই সদ্য যোগ দেওয়া পুলিশকর্মীদের ভোটের কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে। তিনি দাবি করেন যে রাজ্য পুলিশে কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ ন্যূনতম ছ’মাসের হওয়া উচিত। কিন্তু সাত দিনের তড়িঘড়ি প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা চলছে। তিন দিনে অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয় কিনা সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন তিনি এই মর্মে। 

ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলে সাধারণত বাহিনীতে নতুন করে কাউকে নিয়োগ করার কোনও নিয়ম নেই। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। তবে নিয়োগ হলেও বর্ষা শুরু হলে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হয় না। তখন মাঠ প্রশিক্ষণের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেছেন যে প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য হল অস্ত্র ব্যবহার শেখানো। কীভাবে, কখন তা ব্যবহার করা হবে, তা হাতেকলমে সেখানে শেখানো হয়। অভিযোগ, সেই প্রশিক্ষণ ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে ভোটের ডিউটিতে যাবেন তাঁরা। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে অনুমান করছেন পুলিশকর্তাদের একাংশ।