২১ জুলাইয়ের পরের দিন গ্রেফতার! আজ কেমন ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

একটা সময় ছিল যখন তিনি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত আর আজ তিনি জেলে। দল দূরত্ব বাড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ২১ জুলাই জ্বলজ্বল করত তাঁর উপস্থিতিতে। এই প্রথম থাকলেন না তিনি।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
parthamam

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঠিক এক বছর আগের কথা। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রাখতেন তিনিই। তাঁর কাঁধেই ছিল এই গুরু দায়িত্ব। এর কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব।

এবার বছর ঘুরেছে। এখন সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, শুধুই তিনিই থাকলেন না। ২০২২ সালে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের সব ঝামেলা চুকিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। পরের দিন সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ২৩ তারিখ গ্রেফতার হন পার্থ। দলের সঙ্গে ক্রমে দূরত্ব বেড়েছে। প্রথম প্রথম তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা খোঁজ নিতেন। এখন সেটা নেই বললেই চলে। তবে পার্থকে বারবার বলতে শোনা গেছে যে তিনি এখনও দলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর মুখে শোনা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তাই এবার ২১ জুলাই থেকে দূরে থাকায় তিনি যে মুষড়ে পড়বেন সেটাই আশা করা যায়। জানা গেছে যে গত কয়েকদিন ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন খারাপ ছিল। সব কাজই করছেন কিন্তু উদাস রয়েছেন। 

২১ জুলাইয়ের আগে থেকেই শুরু হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যস্ততা। সময় পেলেই ধর্মতলা চত্বরে যেতেন তিনি। ২১ জুলাইয়ের আগের দিন সেই ব্যস্ততা থাকতো চরমে। ওয়াররুমেই থাকতেন দিনের বেশিরভাগ সময়। কোন জেলা থেকে কতজন আসছে, কী কী ব্যবস্থা সবই নজরে নজরে রাখতেন মমতার এই সেনাপতি। সেই নাকতলার বাড়ি শুনশান কারণ পার্থ এবার জেলে। সেখান থেকেই দেখলেন এবারের ২১ জুলাই। মন খারাপ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। সকাল থেকেই নাকি কম কথা বলছেন, উদ্বিগ্ন মন। চা খেয়েছেন কিন্তু প্রাতঃরাশ করেছেন অনেক পরে।

এদিকে নতুন আপডেট অনুযায়ী, এবার দিল্লি থেকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়বেন আইনজীবী শামসুদ্দিন শামস। বেশ কিছু বছর ইডির আইন বিভাগের সবার উপরে কাজ করেছেন তিনি। পার্থর হয়ে সওয়াল করা কলকাতার আইনজীবীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা ইতিমধ্যেই নাকি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। শামসুদ্দিন শামসকে যদি পার্থর তরফে দাঁড় করানো হয়, তাঁর কথার মারপ্যাঁচ অনেকটাই প্রভাব বিস্তারকারী হবে। কারণ তিনি তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের ধরন সম্পর্কেই অনেকটাই জ্ঞান রাখেন।