/anm-bengali/media/media_files/f6BiFB9CfchYtJlaNSor.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালানো সিবিআই ও ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা এফআইআর রুজু করতে পারবে না আদালতের অনুমতি ছাড়া। রাজ্যের মুখ্যসচিবের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই বার্তা পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেটের OMR-এর মিরর কপি সংরক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত কার বা কিসের ভিত্তিতে ছিল? রিপোর্ট দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেও পরে প্রত্যাহার করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে বসেই দেশের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়েছে। 'কতদিন তদন্ত করা বন্ধ থাকবে? প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাবে আর দোষীরা ঘুরে বেড়াবে? আরও অনেক মামলা নিয়ে আপনাকে (রাষ্ট্রপতি) পরে জানাব। আমার অনুরোধ যে আপনি দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করুন এবং দয়া করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করুন। এতদিন শুনানি বন্ধ থাকলে কে কীভাবে তদন্ত করবে?' প্রশ্ন করলেন বিচারপতি। গত ২ মার্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়ম নিয়ে সিবিআই-সিটকে নতুন করে রেগুলার কেস রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দায়ের করেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় ২৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। ৫ মাস পেরোনোর পরেও সেই মামলা শুনানির জন্য আজও আসেনি। এতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন না যে আর কতদিন তদন্ত বন্ধ থাকবে এবং নথি সরানোর বন্দোবস্ত হবে। এই মামলার শুনানি দ্রুত করার অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পরে লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যা।
সিবিআই ডিআইজি এজলাসে হাজিরা দিয়ে তদন্তের সমস্যার কথা ব্যাখা করায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ডিরেক্টরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ স্থগিত রেখে দিলেন। ৪ অক্টোবর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সিবিআই ডিরেক্টরের। কেউ যেন সিবিআই এবং আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলতে হবে। এটা শুধু বড় বড় দুর্নীতিবাজদের মুখের বাণী হয়ে থাকলে হবে না'। মুখ্যসচিবের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এটাই বার্তা দিলেন তিনি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us