নিয়োগ স্ক্যামে 'কালীঘাটের কাকু'র সূত্র ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম

এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। গ্রেফতার হওয়া কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে তৈরি করা একটি তথ্যে এই নাম পাওয়া গেল।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
3

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকাণ্ডের নথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুললেন ইডি আধিকারিকরা। গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'-র বিরুদ্ধে তৈরি করা একটি তথ্যে রয়েছে অভিষেকের প্রসঙ্গ। ওই রিপোর্টটি দিল্লিতেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার সেই নথিতে সই করেন। নথির ৩১ নম্বর পৃষ্ঠায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ওই নথির ওপর ভিত্তি করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ এখন নেবে না ইডি। তদন্তের সাপেক্ষেই এই নামোল্লেখ বলে জানা গেছে।

প্রায় ২ মাস আগে গ্রেফতার করা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নথিতে অভিষেকের নাম উঠে এসেছে। গ্রেফতারির আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রচুর কাগজের নথিপত্র এবং ডিজিটাল তথ্য পাওয়া যায় সেখান থেকে। সেই সব নথিপত্র এবং ডিজিটাল তথ্য তদন্তের প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায় ইডি। এই কারণে ইডির তরফে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন সংক্রান্ত মামলার বিচারকারী কর্তৃপক্ষর কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাতেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী অফিসার উল্লেখ করেছেন যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তত্‍কালীন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করতেন। সুজয় তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই সময়ে সুজয় তত্‍কালীন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের অফিসে যেতেন অভিষেকের বার্তা পৌঁছে দিতে।

তবে কোন কোন বার্তা সুজয়কৃষ্ণ মানিক ভট্টাচার্যর কাছে পৌঁছে দিতেন, সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট করে ইডি জানায়নি কিছু। সমগ্র বিষয়টিই এখন 'তদন্তসাপেক্ষ' অবস্থায় রয়েছে। একজন ইডি আধিকারিক আবার দাবি করেন যে সুজয়ের সঙ্গে হুগলি থেকে ধৃত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের 'ঘনিষ্ঠতার' কথা তাঁরা জানতে পারেন সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তাপস মণ্ডলকে  জেরা করার মাধ্যমে। তাপস দাবি করেন যে প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের থেকে বেআইনিভাবে নেওয়া টাকা তিনি কুন্তলকে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'সন্তুকাকা'কে দেওয়ার জন্য। যদিও ইডি জানাচ্ছে যে তাপসের কথার সত্যতা 'প্রমাণসাপেক্ষ'। তারপর সুজয়কে গ্রেফতার করার পরেই দিল্লিতে পাঠানো নথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যোগ করা হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম থাকা সেই নথি দিল্লির পিএমএলএ মামলার বিচারকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। জুনের ২৬ তারিখ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার সরকারিভাবে নথির প্রাপ্তিস্বীকার করেন।