আগেই সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরণ এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নবান্নের

আজ সকালে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর। এই ঘটনায় আপাতত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি ৭ জন। এগরার ঘটনার পর আবার এর পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকেই।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
mamata para.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: দত্তপুকুরকাণ্ড থেকে মনে পড়ে যাচ্ছে সাড়ে ৩ মাস আগে ঘটে যাওয়া এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড। রাজ্যে ইদানীংকালে আরও কয়েকটি জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হলেও আপাততভাবে ভয়াবহতায় দত্তপুকুর কিছুটা এগরার মতো। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিস্ফোরণ হয় গত ১৬ মে। এর পরেই রাজ্যের সর্বত্র সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় নবান্ন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যাবতীয় নির্দেশিকা নিয়ে। এর পরে নবান্নর পক্ষ থেকে নির্দেশে বলা হয়েছিল যে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে এই ধরনের কারখানায় কাজের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি, বেআইনি বাজি কারখানার কর্মীদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির কথাও বলা হয়েছে।

নবান্নের তরফে নির্দেশিকায় পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের বলা হয় যে বেআইনি বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিয়ম-বহির্ভূতভাবে তৈরী হওয়া বাজি কারখানাগুলিতে তল্লাশি চালাতে হবে। বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্তও করতে হবে। বাজেয়াপ্ত করা বাজি কীভাবে নষ্ট করতে হবে, সেটা নিয়েও নিদান দিয়েছে নবান্ন। বলা হয়েছিল যে বাজেয়াপ্ত বাজি আদালতের নির্দেশ অনুসারে নষ্ট করতে হবে। বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হলে প্রয়োজনে অল্প অল্প করে তা নষ্ট করতে হবে।

বেআইনি বাজি প্রস্তুতকারকেরা যাতে আবার একই কাজ না করেন, তা স্থানীয় থানাকে নিশ্চিত করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এগরায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ বিস্ফোরণের পরে ওড়িশার হাসপাতালে মারা যান। তিনি অতীতেও বাজি কারখানা চালাতেন। পুলিশ গ্রেফতার করলেও মুক্তি পেয়েই আবার বাজির কারবারে যুক্ত হয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে নবান্ন স্পষ্ট জানিয়েছিল যে বেআইনি বাজি প্রস্তুতকারকেরা যাতে আবার একই কাজ না করেন, তা দেখতে হবে স্থানীয় থানাকেই। সব বাজি কারখানার বিস্ফোরণের পর দেখা যায় যে সেখানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন মূলত স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। রাতারাতি কারখানা বন্ধ হলে তাঁদের পেটে যাতে টান না পরে তার জন্য প্রয়োজন মনে করলে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে কর্মীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁরা যেন কোনওভাবেই বেআইনি বাজি কারখানায় কাজ না করেও সুস্থ জীবনধারণ করতে পারেন। সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পরামর্শ পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েছে নবান্ন।

impact