যাদবপুরকাণ্ডে পুলিশি নজরে আরও ২, ঘটনার রাতে গেছে দেখা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে এবার একের পর এক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। মূলত গ্রেফতার হওয়া ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের জেরা করেই এই তথ্যগুলি খুঁজে পাচ্ছে পুলিশ। কালপ্রিট কারা?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
111111

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেই রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে। তবে পুলিশি তদন্তে আতশকাচের তলায় আরও ২ জন। জানা গেছে যে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সেই রাতে ১০ জনের বেশি ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পরিচয় নিয়ে এখনও কিছু সামনে আনেনি পুলিশ। পড়ুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে বাকিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা আগে খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।

জানা গেছে যে ছাত্রদের পাশাপাশি হস্টেল সুপার দ্বৈপায়ন দত্তও নিরাপত্তারক্ষীকে হস্টেলের গেট বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিল যে বাইরে থেকে কেউ যেন হস্টেলে ঢুকতে না পারে। তাঁর আরও দাবি, পড়ে যাওয়া ওই ছাত্রকে নিয়ে ট্যাক্সি বেরিয়ে যাওয়ার পর কলকাতা পুলিশের তরফে দু'জন আসেন। তাঁরা গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে কিছুটা এগোনোর পর দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়েও যান। পরে আরও কয়েক জন পুলিশ হস্টেলের সামনে এসেছিলেন। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে চাননি।

যাদবপুরের ওই ছাত্রের মৃত্যুকাণ্ডে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২ পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার এই ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সপ্তক কামিল্যা (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী), মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), অসিত সর্দার (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী) এবং সুমন নস্কর (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী)। এই ৬ জনকে আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় হোস্টেলের প্রাক্তনী এবং বর্তমান পড়ুয়াদের কারুর কারুর বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রকে চূড়ান্ত মাত্রায় শারীরিক এবং মানসিক নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে যা আদতে Ragging বলেই দাবি করছে তারা। সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে চাইছে না পুলিশ। শুধু তাই নয়, হোস্টেলের পড়ুয়া এবং আবাসিকদের পাশাপাশি হোস্টেলের সুপার নিজেও দাবি করেছেন যে ওই হোস্টেলে Ragging হয়। তাহলে এতদিন ধরে কেন কর্তৃপক্ষ ছিল উদাসীন? সিসিটিভি কেন বসানো হয়নি? একটা ছাত্রের 'স্বপ্ন' যে এভাবে অকালে ঝরে গেল তার জন্য দায়ী কারা?