কি হতে চলেছে কারামন্ত্রীর ভাগ্য? বোঝা যাবে মঙ্গলে

নিজস্ব সংবাদদাতা: আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তি, তদন্তে অসহযোগিতা এবং প্রভাবশালী হওয়ার অভিযোগে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অন্তর্বর্তী জামিন খারিজের আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সোমবার দুপুরে প্রায় দুই ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে সওয়াল-জবাব চললেও শেষমেশ রায়দান স্থগিত রাখল আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।

এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমি প্রভাবশালী নই, তদন্তে কোনও অসহযোগিতাও করিনি”। তবে ইডির দাবি, বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের জবানবন্দি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেই উঠে এসেছে চন্দ্রনাথের নাম। তদন্তকারীদের অভিযোগ, প্রায় ১৫৯ জন প্রার্থীর কাছ থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল, যা মিলিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২.৭২ কোটি টাকা। এত বিপুল অর্থের হদিস মন্ত্রী দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই অভিযোগ।

বিচারকের প্রশ্নও তোলা হয়েছে—ইডি যখন আয়কর রিটার্নের নথি চেয়েছিল, তখনই কেন তা জমা দেওয়া হয়নি? এই অসহযোগিতার কারণ নিয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মন্ত্রী বা তাঁর আইনজীবী।

ইডির আরও অভিযোগ, শুধু মন্ত্রীর নয়, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলের অ্যাকাউন্টেও বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে। কৃষি কাজ ও রিয়েল এস্টেট থেকে আয় হয়েছে বলে দাবি করলেও, তার কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি চন্দ্রনাথ সিনহা।

এখন নজর মঙ্গলবারের রায়ের দিকে। অন্তর্বর্তী জামিন বহাল থাকবে নাকি খারিজ হবে—তা নিয়েই রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে।