রাত পোহালেই ফের নিম্নচাপ, পুজো এবার জলেই মাটি!

আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
water logging

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রবল বর্ষণের দাপটে ভেসেছে মহানগর। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে একের পর এক। প্রশ্ন এখন একটাই—পুজোর মুখে কি ফের নামবে দুর্যোগ? আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, আগামী কয়েকদিন বর্ষাসুরের রোষে শান্তি মিলবে না দক্ষিণবঙ্গে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করা নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে। তবে এতে স্বস্তি সীমিত, কারণ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমার উপকূলে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সেটি বুধবার রাত পোহালেই নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই নিম্নচাপ শুক্রবার নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। শনিবার তা দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তখন সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

wea.jpg

এখানেই শেষ নয়। ৩০ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যদিও তার গতিপ্রকৃতি কেমন হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে।

হাওয়া অফিসের আশঙ্কা, ৩০ সেপ্টেম্বর তৈরি হওয়া নতুন ঘূর্ণাবর্ত যদি শক্তিশালী হয়, তবে নবমীর রাত থেকেই ফের দুর্যোগ নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।