Panchayat Polls: 03322001641- সেভ করুন নম্বর! ভোটে লাগবে কাজে

যে সব এলাকায় হিংসার ঘটনা হয়েছে তার দুই-একটা জায়গা রাজ্যপাল নিজে ঘুরে দেখেছেন। সমস্ত পরিস্থিতির বিচার করে মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে তার জন্য বড় পদক্ষেপ নিলেন।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
vote

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আগেই বলেছিলেন, এবার কথা নয়, অ্য়াকশন হবে। কথা রাখলেন তিনি। ভাঙড় থেকে ক্য়ানিং পর্যন্ত হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসে রাজভবনে খোলা হল ২৪ ঘণ্টার জন্য় কন্ট্রোল রুম। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনও অভিযোগ থাকলে আপনিও জানাতে পারবেন অভিযোগ। OSD2w.b.governor@gmail.com এই ইমেল আইডিতে আপনি মেইল করে অভিযোগ জানাতে পারেন। এখানে মেইল করার পরে তা কমিশনকে জানাবে রাজভবন। এক্ষেত্রে হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এমনকি এও জানা গেছে যে ইতিমধ্যেই নাকি ইমেল আসতে শুরু করেছে। তবে শুধু মেইল করে নয়, 03322001641 নম্বরে ফোন করেও অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যের মানুষ। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে সেই নম্বর। 

এদিকে জানা গেছে যে রাজ্যপাল রবিবার মুর্শিদাবাদ সফরে যেতে পারেন। একেবারে কড়া অবস্থান নিয়েছে এবার রাজভবন। হিংসা রোধ করে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আর রাতেই পাওয়া গেল কন্ট্রোল রুমের খবর। রাজভবনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে থাকবে কন্ট্রোল রুম। ক্যানিংয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন যে যে এলাকাগুলিতে হিংসার ঘটনা হয়েছে তার দুই-একটা স্থান ঘুরে এসেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাঁরা হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল। যে পুলিশ আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমগ্র ঘটনায় তিনি একেবারে স্তম্ভিত। এই ধরণের হিংসা ও গুন্ডামির ঘটনা কীভাবে চলতে পারে সেটা ভেবে অবাক হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

সেই সঙ্গেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন যে তিনি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। কোথাও মানুষ আক্রান্ত হলে তাঁকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে। ভয়হীনভাবে যাতে বাংলার মানুষ ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করবেন তিনি নিজেই। এদিকে আবার কন্ট্রোল রুম খোলা নিয়ে রাজনীতি সরগরম হয়ে গেছে। তৃণমূলের দাবি, এভাবে কন্ট্রোল রুম খুলতে পারেন না রাজ্যপাল। তবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান বিজেপি নেতৃত্বসহ বিরোধীরা। এদিকে রাজ্যজুড়ে শুধু মনোনয়ন পর্বকে ঘিরেই যে হিংসার ছবি দেখেছে বাংলার মানুষ, তাতে তারা আতঙ্কিত। হিংসা চায় না মানুষ। তবে ভোটের আগেই যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যে পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়েছে সেটা ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট।