/anm-bengali/media/media_files/2024/10/21/1000082714.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : জুনিয়র ডাক্তাররা ১৭ দিনের কঠোর অনশন শেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অনশন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "আমরা একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছি, আর এক জনকেও হারাতে চাই না। তোমাদের সব লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি।"
/anm-bengali/media/media_files/2024/10/21/1000082711.jpg)
ধর্মতলায় অনশন তুলে নেওয়ার ঘোষণার সময় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট করেছেন যে, আন্দোলন চলবে, তবে আপাতত তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করছেন। তাঁরা ছাত্র ধর্মঘটের পথে না হাঁটার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন।
/anm-bengali/media/media_files/6YoPftvBBe6Lf2pchSfV.jpg)
নবান্ন থেকে ফিরে আসার পর, নিহত চিকিৎসকের পরিবার ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অনশন প্রত্যাহারের জন্য ডাক্তারদের অনুরোধ করেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য ডাক্তাররা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গত ১৬ দিনে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে হাজার হাজার নাগরিক এসে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। বিভিন্ন বয়সের মানুষ, আট থেকে আশি, এসে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কেউ হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন, কেউ চোখের জল ফেলেছেন।এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "আমরা যে সব দাবি রেখেছি, তা সবার সামনে এসেছে। আমাদের ১০ দফা দাবিতে আমরা বারবার সরব হয়েছি। অভয়ার ন্যায় বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন।"
/anm-bengali/media/media_files/2024/10/21/1000082713.jpg)
তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী থ্রেট কালচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের কোনও গঠনমূলক আলোচনা হয়নি। আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। আগামী মার্চে মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভোট হবে, এটি আমাদের একটি বড় জয়। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়ে সরকারের আশ্বাস এসেছে, আশা করি দ্রুত নির্দেশিকা আসবে।" জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের লড়াইয়ে সামনের দিনগুলোতে আরও সক্রিয় থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁরা দৃঢ় বিশ্বাসী যে, তাঁদের আন্দোলন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us