/anm-bengali/media/media_files/jnLjKlyZK6V4KRVqO3SY.webp)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সরকারের পাঠানো চিঠি এল সামনে। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সরকারের ভূমিকায় অত্যন্ত অসন্তুষ্ট এই সংসদ। তাই এই সিদ্ধান্ত তার।
পাঠানো চিঠিতে সংসদ জহর সরকার সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, 'মানুষের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ততার কারণ দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দেওয়া। কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ আমি আগে দেখিনি। কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন অনাস্থা আগে দেখিনি। আর জি কর কাণ্ডে আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে খুবই সামান্য। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে অনেক দেরি হয়ে গেছে। রাজ্যের দুর্নীতি এবং দলের নেতাদের একাংশের এই দাপট দেখে আমি অবাক। চিঠিতে সব কারণ স্পষ্ট করে দিয়েছি'। অর্থাৎ আর জি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হওয়ার পাশাপাশি তার নিশানায় দল।
/anm-bengali/media/post_attachments/d9f676d2ed4a383673d4e4ef1323379a9918fe3ad708d5a4aad3c24666086946.jpg?size=948:533)
তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও রাজ্যসভার সাংসদ পদ দুটি থেকেই পদত্যাগ করছেন তিনি। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর সুখেন্দুশেখর রায়ের পৌরোহিত্যেই তৃণমূলে এসে রাজ্যসভার সাংসদ হন জহর সরকার। এদিকে কিছুদিন আগেই আবার বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন সুখেন্দুশেখর নিজেই। ২০২২ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে চরম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও কিছু মত প্রকাশ করেন জহর সরকার। তখন দলের কিছু নেতা নাকি তাকে হেনস্তা করেছেন বলে তার অভিযোগ। তবু তিনি দল ছাড়েননি। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা ছিল। জহর সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর এবার প্রশ্ন উঠছে সুখেন্দুশেখর রায়ের অবস্থান নিয়েও।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us