BIG NEWS: শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই BJP-তে কংগ্রেস নেতা?

আজ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে একই মিছিলে পাশাপাশি হেঁটেছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং কৌস্তভ বাগচী। বিরোধী দুই দলের প্রতিনিধির পাশাপাশি থাকার এই ঘটনা কলকাতায় বেশ বিরল।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
suvendu

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিজেপিতে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী? গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পাশাপাশি তিনি হাঁটতেই সেই জল্পনা আরও তীব্র হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটের মঞ্চে তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে থাকা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল এই কংগ্রেস নেতার। কংগ্রেসের অন্দরে লাগাতার সুর চড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও করেছেন বিষোদগার। কিন্তু, তাঁর এই আচরণে যে দল ব্যবস্থা নিতে পারে সে ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গেছে। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যদিও তারপরেও ডোন্ট কেয়ার মনোভাব নিয়েই চলছিলেন কৌস্তভ বাগচী। দলের লাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সাফ বলেছিলেন, 'তৃণমূল আমাদের চোখে চোর ছিল, থাকবে। বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে নরম অবস্থান মানবে না'।

এরইমধ্যে দলের ভেতরে কেউ কেউ বলতে থাকেন যে কৌস্তভ নাকি বিজেপি যাওয়ার রাস্তা পাকা করছেন। সেই কারণেই তিনি নাকি এসব করছেন। এরই মধ্যে এবার শুভেন্দুর সঙ্গে একই মিছিলে হাঁটা নিয়ে জোর শোরগোল ছড়িয়ে গেল রাজনৈতিক মহলে। তবে কি তাঁর বিজেপিতে যোগদানের আর বিশেষ দেরি নেই? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠল। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ২৮ অগস্ট মহাজাতি সদনে খুব ঝামেলা হয়। সেখানে এসেছিলেন কানহাইয়া কুমার। এমনকি ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরীরা। ডাকা হয়নি কৌস্তভকে। তারপরেও তিনি যান সেখানে। আর সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ঝামেলা করার অভিযোগ উঠেছিল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কানহাইয়া নিজেও। সাফ বলেন, 'একে সরানোর দরকার রয়েছে'। যদিও এর কিছু সময়ের মধ্যেই দলের মুখপাত্র তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় কৌস্তভের নাম। এরই মধ্যে কৌস্তভের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনার মধ্যে বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকার প্রশংসা করে ফেললেন কৌস্তভ আজ। এরই মধ্যে এবার একইসঙ্গে দুজন হাঁটলেন মিছিলে। যদিও কৌস্তভ বললেন, 'আমি ব্যক্তি কৌস্তভ বাগচী হিসাবে, আইনজীবী হিসাবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই'। অন্যদিকে শুভেন্দু বলেন যে কে থাকবেন কে থাকছেন না সেটা তাঁর বিষয় নয়। তিনি মিছিলে এসেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে, বিজেপি নেতা হিসাবে নয়। তবে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পাশাপাশি হেঁটে তাঁরা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।