মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে মামলা শুভেন্দুর! নির্বাচন কমিশনের বড় স্টেপ

আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে এই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ দুপুরেই হবে এই মামলার শুনানি।

New Update
mamsuv1

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিসহ চারটি অভিযোগ পাওয়ার পরেও কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে যে অভিযোগ আসার পরেই কমিশনের পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। অভিযোগগুলি নিয়ে কমিশনের কী বক্তব্য রয়েছে বৃহস্পতিবারই তা জানতে চাইছে হাই কোর্ট। দুপুরেই আবার হবে এই মামলার শুনানি। 

 

চারটি বিষয়ে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে এই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর সওয়াল, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি 'দিদিকে বলো'র ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি এখন চলছে। নির্বাচন ঘোষণার পরে জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদের তৃণমূলের এক প্রার্থী নাকি টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এই অবস্থায় ওই জেলায় তিনি কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করবেন সেটাও প্রশ্ন আইনজীবীর। নির্বাচন ঘোষণার পরে রাজ্য পুলিশের আইজি কয়েকজন অফিসারকে বদলি করেছেন বলেও দাবি করেন আইনজীবী।

শুভেন্দু অভিযোগ করেন যে তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যে নম্বর ব্যবহৃত হয়েছিল, সেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরকারের কর্মসূচি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়। কিন্তু তার পরের দিন এই কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই কাজে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বুধবার সেই মামলা বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে শুনানির জন্য উঠলেও তিনি মামলা থেকে সরে যাওয়ায় প্রধান বিচারপতির এজলাসে সেটা পাঠানো হয়। এই বিষয়ে বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, এই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গণ্য হওয়া উচিত। তাই একে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিংহ।