পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল হাইকোর্ট

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করার দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়। আজ ছিল তার রায়। প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ দিল বিশেষ রায়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
votep

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেওয়া হল। সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দিল। ওই মামলায় পঞ্চায়েত ভোট বাতিলের পাশাপাশি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার আর্জিও জানানো হয়।

সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি করা হয়। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীধর চন্দ্র বাগাড়িয়া জানান যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। তাই এই নির্বাচন অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। এর পাশাপাশি দাবি ওঠে রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি করা উচিত এখানে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় এর আগে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে যার রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্বাচন কমিশনকেও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট বাতিল করতে চেয়ে মামলা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না কোর্ট। তবে আইনজীবী আর্জি জানান যে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে এই মামলা শোনার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে।

রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান যে এই বিষয়ে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ সংবিধানের ৩৫৬ ধারাটি রাষ্ট্রপতির এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। আইন অনুযায়ী হাইকোর্টের কোনও ক্ষমতা নেই। তাই এই আবেদনও উচ্চ আদালতে গ্রাহ্য করা হচ্ছে না।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্যে একাধিক প্রাণহানি হয়ে গেছে। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নানা প্রান্তে অশান্তি দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়, ক্যানিং বা কোচবিহার। সেই অশান্তির আবহেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না এখনও। ফলে মানুষ রয়েছে আতঙ্কে। ভোটের আর ৫ দিন বাকি। এখনও একইভাবে রাজনৈতিক হিংসার দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে রোজ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার। আর ৫ দিন পর কী হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে হিংসা সেটাই দেখার।