অতি বৃষ্টির জের, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিলম্বের জেরে দুর্ভোগে সাধারণ যাত্রীরা।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
west-bengal-train

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাতভর বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল কলকাতা ও শহরতলির রেল পরিষেবা। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে থমকে যায় একাধিক ট্রেন। বন্ধ হয়ে গেছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার পরিষেবা, চক্ররেলের আপ ও ডাউন লাইনও আপাতত অচল।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের একাধিক ইয়ার্ড—যেমন হাওড়া ইয়ার্ড, শিয়ালদহ দক্ষিণ ইয়ার্ড, চিৎপুর উত্তর কেবিন—ডুবে গিয়েছে বৃষ্টির জলে। পাম্প করে জল বের করার চেষ্টা হলেও বৃষ্টির দাপটে ফের জমছে জল। ফলে সকালেই বাতিল করতে হয় কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন। মঙ্গলবার আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস চলেনি। লোকাল ট্রেনগুলির যাত্রাপথও সংক্ষেপিত করতে হয়েছে।

মেন, বনগাঁ ও হাসনাবাদ লাইনের পরিষেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত। বনগাঁ থেকে শিয়ালদহগামী অনেক ট্রেনকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা হয়। মেন লাইনের ট্রেনও দমদমের আগে আটকে যায়। পরে আংশিক পরিষেবা শুরু হলেও অনিয়মিতভাবে চলছে। দমদম জংশনে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে—কোনও ট্রেন কখন ছাড়বে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিলম্বের জেরে দুর্ভোগে সাধারণ যাত্রীরা। কেউ ট্রেনের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাচ্ছেন, আবার অনেকেই বাস বা অন্য বিকল্প পথে রওনা হয়েছেন। তবে শহরের বেশির ভাগ রাস্তাই জলমগ্ন থাকায় সেই পথও ঝক্কির।

Train

অন্যদিকে হাওড়া ডিভিশনেও বিপর্যয় কম নয়। ভারী বর্ষণে হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত, হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত, হাওড়া-জামালপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসসহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ব্ল্যাক ডায়মন্ড, গণদেবতা ও রাঁচিগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসও সময়মতো ছাড়তে পারেনি।

লোকাল পরিষেবার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। তারকেশ্বর লাইনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্ধমান মেন লাইনে পরিষেবা চালু হলেও তা অত্যন্ত অনিয়মিত। প্রায় সব ট্রেনই দেরিতে চলছে, ফলে গাদাগাদি ভিড়। বহু যাত্রী ট্রেনে উঠতেই পারছেন না।

সব মিলিয়ে, টানা বৃষ্টিতে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ।