নিজস্ব সংবাদদাতা : মঙ্গলে অমঙ্গলের কোনো খবর না থাকলেও লক্ষ্মীবার বৃহস্পতিবার থেকে ফের দোসর হতে পারে বৃষ্টি। শনিবার মহালয়া। পুজো প্রায় এসেই গেল। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখনও যারা শপিং করবেন ভাবছেন করে ফেলুন। মাঝে আর একদিন। তারপরই বঙ্গে বৃষ্টি ভ্রুকুটি পর্ব শুরু হতে চলেছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই সকালে কড়া রোদের দেখা মিলছে। আকাশেও সাদা মেঘ দেখা যাচ্ছে যা জানান দিচ্ছে এটা শরতের আকাশ। পুজো সামনেই। বেলা গড়াতেই মেঘলা আবহাওয়া। তবে বৃষ্টি সেভাবে হয়নি। হলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে শহরের কয়েক জায়গায়। জেলাতেও তেমন ভারী বর্ষণের খবর নেই। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির বড় বদল ঘটবে বলেই মনে করছে অনেকে। আবহাওয়া আবার তার ভোল বদলাতে চলেছে। আবহাওয়ার নিউ ইনিংসে জল যন্ত্রণার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে পুজোর আগে বৃষ্টি আতঙ্কে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আট থেকে আশির।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রখর রৌদ্র। ভ্যাপসা গরমে কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু জলকণা। আর্দ্রতাজনিত কষ্টও তুঙ্গে। তাপমাত্রার পারদ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৩৬-এর ঘরে পৌঁছেছিল সোমবার। বলা যায়, ৪০-এর কোঠায় উঠেছে পারদ। পুড়ছে বাংলা। দক্ষিণবঙ্গে সেই গ্রীষ্মের দহনের অনুভূতি হচ্ছে পুজোর মাসেও। বুধবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তেমন। একই রকম আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে খেলা ঘুরে যেতে পারে। ঝমঝমিয়ে নামতে পারে স্বস্তির বৃষ্টি। তৈরি থাকুন। সেরে রখুন প্রস্তুতি।
এবার আসি উত্তরবঙ্গের কথায়। দক্ষিণবঙ্গ যখন পুড়ছে তখন উত্তরবঙ্গে স্বস্তির খবর শোনালো হাওয়া অফিস।আগামী দুই দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশ থেকে বর্ষা বিদায়ের সময় হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু রাজ্য থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়ে নিয়েছে আবার অনেকগুলো রাজ্য থেকে বর্ষার বিদায় নিতে সময় নিচ্ছে। বর্ষায় এবার বাংলায় যথেষ্ট ঘাটতি তৈরি হয়েছে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে। বর্ষাকালের পর নিম্নচাপের গেরোয় শরতেও বর্ষার আমেজ উপভোগ করেছে বঙ্গবাসী। এবার পালা শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সেলিব্রেশনে মেতে ওঠার। প্যান্ডেল হপিংয়ের সময় বৃষ্টি পড়ুক কিংবা ছাতা মাথায় ঠাকুর দেখতে কারো ভালো লাগে না। তাই আকাশ পরিষ্কার হতেই পুজোর আবহাওয়া নিয়ে আশা জাগছে মনে।