আলোহীন, ক্রেতাহীন শ্মশানপুরী গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান!

গড়িয়াহাটের ছোট ব্যবসায়ীরা চরম ধাক্কা খেয়েছেন।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
G1gvDtgW0AA-T_h

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: “এমন বৃষ্টি জীবনে দেখিনি” - শহরবাসীর একটাই সুর। টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। জল নামলেও আতঙ্ক কাটেনি এখনও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে বারবার সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টই বলেছেন, “আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে পারি না। সাধারণ বৃষ্টি হলে কলকাতা জল জমার কথা নয়। কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা অস্বাভাবিক”।

বৃষ্টির প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন শহরের ব্যবসায়ীরা। বিশেষত পুজোর আগে হাতিবাগান, ধর্মতলা থেকে গড়িয়াহাটের ছোট ব্যবসায়ীরা চরম ধাক্কা খেয়েছেন। জামাকাপড়, সাজসজ্জার জিনিস, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে থেকে কোনও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগই ছিল না। রোজই বৃষ্টি হয়, কিন্তু এবারের মতো বন্যা পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি।

people-are-busy-shopping-at-the-market-ahead-of-1079040

হাতিবাগান মার্কেটের এক ব্যবসায়ী ক্ষোভের সুরে বলেন, “আমাদের ব্যবসায় আগেই অনলাইন কেনাকাটায় টান পড়েছিল। এবারের বৃষ্টির হানা মরার উপর খাড়ার ঘা।” মার্কেটে জল ঢুকে ব্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব মেলানোই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও বৃহস্পতিবার বাজার খোলা থাকলেও তেমন ভিড় হয়নি। অন্য বছর পুজোর ক’দিন আগে ক্রেতাদের ঢল নামে। কিন্তু এবারে বৃষ্টির জেরে সেই ভিড় কম। ব্যবসায়ীদের মতে, এ বছর ক্রেতারা শেষের দিকে বাজার সারবেন বলে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে, দুর্যোগ উপেক্ষা করেই শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং। তবে বাজারে ভিড়ের ছবিটা এবার অনেকটাই আলাদা। ফলে পুজোর মুখে ক্ষতির বোঝা নিয়েই দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।