২০২৬-এর আগে বড় চমক, ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে জুড়লো তৃণমূলের নতুন সমীকরণ

এক প্রেস বিবৃতিতে এই ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
Mamata

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের সমীকরণে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। বহুদিনের জল্পনায় অবশেষে সিলমোহর দিল শাসকদল। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক পদে নিযুক্ত করল ঘাসফুল শিবির। রবিবার এক প্রেস বিবৃতিতে এই ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

একইসঙ্গে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শঙ্কর মালাকারকে দলের রাজ্য সহসভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাশেমের তুতো ভাই আব্বাস সিদ্দিকী গড়ে তুলেছিলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)। বাম-কংগ্রেস জোটের শরিক হয়ে ভোটে লড়েছিল ISF। সেই টিকিটেই ভাঙড় থেকে বিধায়ক হন আব্বাসের ভাই নওশাদ সিদ্দিকী। এরপর থেকেই ফুরফুরা শরিফ ও তৃণমূলের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

Kasem-Siddique-appointed-as-TMC-state-General-Secretary

তবে গত মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুরফুরা শরিফে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেদিন মমতার পাশে দেখা যায় কাশেম সিদ্দিকীকে। আব্বাস বা নওশাদ কেউই উপস্থিত ছিলেন না। এরপর কলকাতার পার্ক সার্কাসের আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠানেও কাশেমের সঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠ উপস্থিতি নজর কাড়ে। তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা—তৃণমূলের সঙ্গে কি কাশেম সিদ্দিকীর নতুন রাজনৈতিক রসায়ন গড়ে উঠছে?

প্রসঙ্গত, কাশেম এক সময় তৃণমূল-বিরোধী ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন এবং সিপিএমের সঙ্গে তার সখ্যতাও চোখে পড়েছিল। তবে পরে তিনি আব্বাস ও নওশাদকে সমর্থন করেন। এমনকি, ২০২৩ সালে নওশাদের গ্রেফতারির পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কাশেম।

এই পরিপ্রেক্ষিতে কাশেম সিদ্দিকীর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক হওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ও ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে ফের প্রভাব বিস্তারের কৌশল হিসেবেই কাশেমকে সামনে আনছে তৃণমূল।