/anm-bengali/media/media_files/pZxeUZ2Jqn9tOuXDBRPO.jpg)
ফাইল ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম বড় মাথা মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেল ইডি। মানিক ও তাঁর পরিবারের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে এই সংস্থা। একইসঙ্গে প্রায় আট কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানাল ইডি। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় দু'ঘণ্টা মানিককে জেরা করেছে সিবিআই। ফের বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ আবারও প্রেসিডেন্সি জেলে জেরা করেন গোয়েন্দারা।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার পোস্টিং দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন করে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় মঙ্গলবার থেকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতিকে জেরা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে মানিক ভট্টাচার্যের নামে ৯৯ পাতার এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি, জাল নথিকে আসল বলে চালানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে দুর্নীতি দমনের ৭, ৭এ, ৮ ধারাতে। এফআইআরের মূল কপির সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশনামা এবং আবেদনপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলির শতাধিক প্রার্থী। ডিজাইনড কোরাপশন, নিয়োগ দুর্নীতির থেকে এই দুর্নীতির চরিত্র অনেকটাই আলাদা এই মর্মেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে এফআইআর করে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তারপরই এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন যে বলা হয়েছিল হোম ডিস্ট্রিক্টে শূন্যপদ নেই। তার ফলে বাধ্য হয়ে দূরের জেলায় চাকরি গ্রহণ করেন বহু শিক্ষক।
ঠিক ১৭ দিন পরে ফের শূন্যপদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় আবার তাঁদের জেলায় শূন্যপদ দেখা যায়। মাত্র ১৭ দিনে কী করে তৈরি হল এই শূন্যপদ? প্রশ্ন করলেন বিচারপতি। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদে এক্ষেত্রে গোয়েন্দারা সংস্থার প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বয়ান। এর আগে আদালতে হলফনামা দিয়ে তিনি জানান যে পুরো ডিলটাই রহস্যে মোড়া রয়েছে। এর মধ্যে সবটা জানতেন মানিক ভট্টাচার্য। জানা গেছে যে মঙ্গলবার রাতেও জেরায় সহযোগিতা করেননি পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us