'হ্যাপি বার্থডে'র বাংলা গান লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা!

বাংলা ভাষায় সেভাবে জন্মদিনের জন্য কোনও গান কেউ গায় না। এবার সেই জন্যই নিজে গান লিখছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একদিকে যেমন একজন দক্ষ প্রশাসক, অন্যদিকে তেমন একজন শিল্পীও।

New Update
mamata vic.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু গান প্রকাশিত হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, হাফ ডজন গান লেখার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি এবারের পুজোয় রিলিজ করা হবে। এর পাশাপাশি 'হ্যাপি বার্থডে' গানের মতোই বাংলায় 'শুভ জন্মদিন' দিয়ে একটি গানও লিখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গানটিও পুজোর প্রকাশ করা হতে পারে। 

প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলানোর পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্যচর্চা ও সঙ্গীতচর্চার প্রতিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ টান রয়েছে। মমতার লেখা একাধিক বই বেস্ট সেলারও। গত বছরের পুজোতেও মুখ্যমন্ত্রীর লেখা আটটি গান প্রকাশ করা হয়। আর এবারও পুজোয় প্রকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ৬টি গান লেখার কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এবারের পুজোয় যে গানগুলি প্রকাশ হবে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে নিজেই নাকি আবার সুর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন এই সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করবেন। সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর রয়েছে। ১১ দিনের সেই বিদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরে গানের বাকি কাজগুলিও তিনি শেষ করবেন। কলকাতার একটি বড় দুর্গা পুজো কমিটির থিম সং-ও তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে লিখে চলেছেন। গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর লেখা পুজোর গানের অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, অদিতি মুন্সী, জিত্‍ গাঙ্গুলি, বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখ। গত বছরের অ্যালবামের একটি গানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন। 

এবার গান লেখার উদ্দেশ্য যাতে সাধারণ মানুষের জন্মদিনটা একটু ভালো এবং আনন্দে ভরপুর করা যায় অন্যভাবে। আসলে ইংরেজিতে জন্মদিন উপলক্ষ্যে একাধিক গান রয়েছে। ‘বার্থ ডে পার্টি’-তে বাজে সেই গানও গায় মানুষ। কিন্তু আজব বিষয় হল এই যে বাংলা ভাষায় সেভাবে জন্মদিনের জন্য কোনও গান লেখেনি কেউ। আর সেই জন্যই এবার বিশেষ কিছু ভাবছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। গানটির সুর দেওয়ার দায়িত্বও তাঁর। তা গাইছেন বাংলার আরেক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীরা এই গানটি মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোন বেতন নেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং বিভিন্ন বই লেখালেখি করে তিনি রয়ালিটি পেয়ে থাকেন। সেটা দিয়েই তাঁর নিজের খরচ চলে যায়, এমনটা সবার সামনে নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।