‘মার গোলি, দেখি কত সাহস’! গ্রেফতার করতে বললেন মমতা
যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপির যুব মোর্চা গোলি মারো স্লোগান তোলে। তাকে একেবারেই সমর্থন করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন গ্রেফতারের হুমকি।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপির ‘যাদবপুর বাঁচাও’ মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগান ঘিরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিলেন তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশের মঞ্চ থেকেই।
গত শুক্রবার যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘যাদবপুর বাঁচাও’ কর্মসূচিতে বিজেপি যুব মোর্চা ও এবিভিপি গোলপার্ক থেকে যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে। বিজেপি যুব মোর্চার সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন এবিভিপির মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’, ‘জুতো মারো’ স্লোগান শুনতে পাওয়া যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে জুতো উঁচিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখালে তা নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ মঞ্চ থেকে মমতা এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'গোলি মারো বলছে। দিল্লি করবে ভেবেছে। আমার স্বপ্ন হারিয়ে গিয়েছে। দেখি কত বড় সাহস। মার গোলি। পুলিশকে বলেছি সবাইকে গ্রেফতার করবে যারা সেই স্লোগান দিয়েছে। গণ্ডগোল করলে পুলিশ ব্যবস্থা করবে। আমি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিচ্ছি যে ছাত্র যেখানে পড়ে, সেখানে কলেজ করবে। বাইরের কেউ যেন গুণ্ডামি করতে না পারে। যাদবপুরে বিক্ষোভ দেখাবি দেখা। বিচার চাও। কিন্তু এটা বিচার চাওয়ার পদ্ধতি নয়। গোলি মারার স্লোগান যারা দিয়েছে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোলি মারার অধিকার কারও নেই'।
আসলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে বাংলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট করানোর বিষয়ে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময়েই ছাত্র ভোট ঘিরে বিরোধী সংগঠনগুলি গোলমাল পাকাতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা শোনা যায় তাঁর গলায়। সম্প্রতি এবিভিপির মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগানের কথাও তখনই উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বুঝিয়ে দিলেন যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল করার অধিকার থাকলেও, কাউকে গুলি মারার অধিকার কারও নেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই বিশেষ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ১৪১ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তাতে কতজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন তিনি? ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। শমীক ভট্টাচার্য এরপরেই অভিযোগ তোলেন যে পুলিশ তাতে অসহযোগিতা করছে ও প্রমাণ লোপের চেষ্টা করছে।