Panchayat Polls: এই মুহূর্তের বড় আপডেট!

পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে বাংলায়। তবে জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্যে কী রয়েছে সেটা আজও পরিষ্কার হলো না কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু কেন? জানুন সেই আপডেট।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
votep

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা হাইকোর্টে আপাতত ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত ঝুলে রইল পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে বিএসএফের পেশ করা রিপোর্ট ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পেশ করা হলফনামা পড়ে মামলায় পরবর্তী নির্দেশ দেবেন তিনি।

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করছে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আদালত নির্দেশ না দিলে কোথাও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়ে দেয় কোর্ট। বুধবার ফের ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন আদালতের নির্দেশে হলফনামা পেশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতে তারা দাবি করেছে যে কমিশনের তরফে আদালতের নির্দেশ মেনে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৮২২ কোম্পানি আধাসেনা চাওয়া হয়েছিল। তবে ভোটের দিন পর্যন্ত ৬৩৭ কোম্পানি বাহিনী পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সমস্ত বাহিনী বুথে বুথে মোতায়েন করা হয়। এর আগে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ১২০০ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বিএসএফের আইজি।

এদিন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাদের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারবে না আদালত। ক্ষতিপূরণ ধার্য করেও প্রাণহানির ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়'। তিনি জানান যে সমস্ত রিপোর্ট পড়ে তারপর মামলার শুনানি করতে চাইছে আদালত। এর ফলে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৭ আগস্ট। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে মোতায়েন করা হয়নি, এমন অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি।

এর আগে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয় যে তারা কমিশনের ভুমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এত হিংসার ঘটনা কীভাবে ঘটল সেটা জানতে চায় তারা? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় আদালতে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদালত বুঝতেই পারছে না যে কমিশন সতর্ক থাকার এত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কীভাবে এত অশান্তি-হিংসার ঘটনা ঘটল। পুলিশ নাগরিকের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে, এমনটাই জানায় আদালত। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য যদি তার নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে তা উদ্বেগের। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কমিশন হলফনামা দিয়ে জানালে কোর্ট বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে।