২০২৬-এর দুর্গাপুজো, ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মেয়র, বাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে বউবাজারের সর্বহারাদের

২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাড়ি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয় সর্বসম্মতভাবে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
wb-kol-bowbazar-metro-aad1-7210726_18082025190756_1808f_1755524276_893

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: কেটে গেছে দীর্ঘ ৬ বছর। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন হলেও এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। এবার কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড (KMRCL)-কে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ২০২৬ সালের পুজোর আগেই বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে বলে নির্দেশ জারি করেছেন তিনি।

সোমবার কলকাতা পৌরনিগমে কেএমআরসিএল, পুরসভার প্রতিনিধি এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকে মেয়র জানান, ২০২৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময় নেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাড়ি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয় সর্বসম্মতভাবে।

২০১৯ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজারে একের পর এক বিপর্যয়ে ভেঙে পড়ে মোট ২৪টি বাড়ি। এর মধ্যে ২১টি বাড়ি নিজে থেকেই ধসে যায় এবং ৩টি ভেঙে ফেলতে হয়। এছাড়া ১৫টিরও বেশি বাড়িতে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় গৃহহারা পরিবারগুলি। মেট্রোর উদ্বোধনের দিনই তারা বিক্ষোভে শামিল হন।

627462-cracks-in-the-houses-in-durga-pituri-lane-at-bowbazar-due-to-east-west-metro-work-19

এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরনো নকশাতেই নতুন ২৪টি বাড়ি তৈরি হবে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ২৭ কোটি টাকা। পাশাপাশি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি বাড়ির সংস্কারে খরচ হবে আরও ৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ৭৪টি পরিবার ফের তাদের ঠিকানা ফিরে পাবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আগামী ১০ বছর নজর রাখবে এসব বাড়ির উপর। মেট্রোর চলাচলে নতুন করে ফাটল ধরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শে ব্যবস্থা নেবে কেএমআরসিএল।

বৈঠক শেষে মেয়র জানান, ৯ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। এখন নজর সেদিকেই—২০২৬-এর পুজোর আগে কি সত্যিই ঘরে ফিরতে পারবেন বউবাজারের গৃহহারা মানুষজন?