বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর ঘিরে জমি-সংক্রান্ত প্রশ্নে চরম অনিশ্চয়তা

মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি আদৌ মিলবে তো?

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
breaking new 1

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর থেকেই ভিড় জমেছে হাজারো মানুষের। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন এসে হাজির হয়েছেন অনুষ্ঠানে। কিন্তু যখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে, তখনই জোরালো হয়ে উঠছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি আদৌ মিলবে তো?

১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দেড় থেকে দু’কাঠা জমিতেই শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ইট এনে জমা করছেন সেখানে। কিন্তু সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যে পরিসরের বাবরি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, তাতে কয়েক বিঘা জমি প্রয়োজন। সেই জমি বরাদ্দ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উঠছে নানা প্রশ্ন।

Screenshot 2025-12-06 2.21.54 PM

কিছুদিন আগে পাশের জমির মালিক নিজামুদ্দিন চৌধুরী স্পষ্টভাবেই জানান, তাঁর ছ’বিঘা জমি কাউকে বিক্রি করেননি। তাঁর কথায়, “বাবরি মসজিদ বিতর্কিত ইস্যু। সেই আবেগ নিয়ে কেন খেলতে চাইছেন? জমির মালিক আমি। কাউকে জমি দিইনি”। তাঁর এই অবস্থান প্রশ্ন তুলেছিল প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

শনিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জমির আরেক মালিক মোহিত শেখ। যে জমির লাগোয়া অংশে তাঁর পরিবারের প্রায় ১৫ কাঠা জমি রয়েছে। মানুষের আবেগে সাড়া দিয়ে তিনি জমির বেড়া খুলে দিলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন, জমি দান বা বিক্রি কোনওটাই করেননি। তাঁর কথায়, “আমরা চাষ করে খাই। এই একটাই জমি রয়েছে। জমি দান বা বিক্রি করিনি। প্রস্তাব পেলে পরে ভাবা যাবে”। 

এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য হুমায়ুন কবীর পর্যাপ্ত জমি আদৌ সংগ্রহ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হুমায়ুন কবীর রহস্যজনকভাবে বলেন, “যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে উত্তর পেয়ে যাবেন”।

সব মিলিয়ে, জমি নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হল বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা। এখন নজর থাকবে ভবিষ্যতের দিকে—কীভাবে বা আদৌ এই বিশাল প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি সংগ্রহ সম্ভব হয় কি না।