/anm-bengali/media/media_files/4QMXkDBBg6vTxbEca6ZQ.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃদ্ধার দৃঢ়তা এবং তাঁর পরিবারের নিবেদন সত্যিই অনুপ্রেরণার। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে তাঁর অবস্থান শুধুমাত্র একটি শারীরিক কষ্ট সহ্য করা নয়, বরং নৈতিক আদর্শ এবং মানবিকতা রক্ষার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পাঁচ দিন ধরে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন, যা প্রমাণ করে তাঁর সংকল্প কতটা গভীর। তিন দিন অনশন করেও, যখন স্বাস্থ্য বিপন্ন হয়ে পড়ে, তখন পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে বকুনি দিয়ে খাওয়াতে বাধ্য হন। এটি আমাদের দেখায়, এই সংগ্রামের মাঝে পরিবারের ভালোবাসা ও সংহতির গভীরতা।
/anm-bengali/media/media_files/feTuNgiljKpCbHGqGL4i.jpg)
বর্ধমান থেকে পরিবারের সদস্যরা রুজি-রুটির চিন্তা ছেড়ে অনশন মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটি একটি অবিশ্বাস্য নিদর্শন, যেখানে তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনকে ত্যাগ করে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। বৃদ্ধা, যিনি নাতি-নাতনীদের পাশে বসে আছেন, তাদের এই লড়াইকে সমর্থন করছেন। ক্লান্ত হলে কিছুক্ষণ এলিয়ে পড়েন, কিন্তু তাঁর মনোভাব এবং সংগ্রামী আত্মা কখনও ভেঙে পড়ছে না।
/anm-bengali/media/media_files/6YoPftvBBe6Lf2pchSfV.jpg)
এখানে মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের একটি গভীর প্রশ্ন উঠে আসে। যখন কোন একটি সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ, বিশেষ করে বৃদ্ধা, নিজেদের অস্তিত্ব এবং পরিবারকে সবার আগে চিন্তা করেন না, তখন তা এক অদ্ভুত শক্তি তৈরি করে। ভিতরে থাকা এই মানবিক অনুভূতিটি তাঁর শরীরে কষ্টের প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসছে। তিনি বুঝতে পারছেন যে এই কঠিন পরীক্ষায়, শুধুমাত্র তিনি নয়, তাঁর নাতি-নাতনিরাও একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের অংশীদার।
/anm-bengali/media/media_files/1000070204.jpg)
এই প্রসঙ্গে বলা যায়, সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য যখন মানুষ দাঁড়ায়, তখন তা কেবল তাদের ব্যক্তিগত জীবন নয়, বরং সমগ্র সমাজের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। বৃদ্ধার এই লড়াই, তাঁর পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে, একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে যে মনুষ্যত্ব কখনও ভেঙে পড়বে না, বরং তা কঠিন পরিস্থিতিতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us