'Ragging নয়, ও ঝাঁপ মারে...ফাঁসানো হচ্ছে'! বিস্ফোরক ধৃত সৌরভ

যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে কে এর পেছনে দায়ী তা নিয়ে তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং জোরকদমে এগোচ্ছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করল প্রথম গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
souravj

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: যাদবপুর ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পিছনে কি Ragging দায়ী? পুলিশের নজরেও রয়েছে বিষয়টি। একাধিক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ যখন এই তত্ত্বের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে দাবি করে, 'মৃত পড়ুয়াকে র‍্যাগিং করা হয়নি। নিজেই হস্টেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়'। রবিবার সৌরভসহ আরও কয়েকজনকে আলিপুর আদালতে আনা হয়। আদালত থেকে ধৃতদের বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়েই সৌরভ চিত্‍কার করে বলতে শুরু করে, 'কোনও Ragging হয়নি। আমরা গরিব তাই আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। বারান্দা থেকে আমাদের চোখের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিল ওই ছাত্র। মানসিক অত্যাচারের সব অভিযোগ মিথ্যে'।

গত ৯ অগস্ট মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। অভিযোগ ওঠে যে মৃত্যুর আগে নাকি তাকে Ragging করা হয়। এই ঘটনায় প্রথম নাম জড়ায় প্রাক্তন সৌরভের। ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করলেও হস্টেলেই থাকতেন তিনি। অভিযোগ, হস্টেলে দাপট ছিল সৌরভের। জানা গেছে যে  মৃত্যুর ঘটনার পর একাধিকবার জিবি বৈঠক হয় যেখানে সৌরভ নাকি ঠিক করে দিয়েছিল কে কী বলবে এবং আত্মহত্যার তথ্য কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কিন্তু সৌরভ Ragging করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, জিবি বৈঠকের কথাও মানতে চাইছে না সে। এদিন সৌরভ দাবি করে যে জিবি কী কারণে হয়েছিল সে সেটা জানে না। তারা কোনও অপরাধী নয়। তারা সঠিক বিচার দাবি চাইছে। যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতেই এই ঘটনায় জয়দীপ ঘোষ নামে আরো এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন আদালতে তাকে ও আরও কয়েকজন ধৃতকে তোলা হয়। সওয়াল জবাবের সময়ে সরকারি আইনজীবী বলেন যে এই ঘটনার পিছনে একটা অত্যাচারের গল্প আছে। যা তদন্তে উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন যে অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তাদের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে।

পুলিশ দাবি করছে যে গ্রেফতার হওয়া ছাত্ররা সকলেই মেধাবী। কেউ আবার তাদের মধ্যেই ভয়ঙ্কর অপরাধী। তদন্তকারীদের সঙ্গে ওই ছাত্ররা নাকি কেউই সহযোগিতা করছে না। যে কোনও সম্মিলিত অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত অভিযুক্তদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হলেও  এক্ষেত্রে তা করা হবে না। পুলিশ কৌশল পরিবর্তন করেছে। কারণ ধৃতেরা একজন যা বলছে, সেটাই বাকিদের মুখ থেকেও শোনা যাচ্ছে। তাই তাদের আলাদা করে জেরা করা হচ্ছে বলেই পুলিশসূত্রে খবর।