১০০ দিনের কাজের মামলায় তৃণমূলের বড় জয়, কেন্দ্রকে বকেয়া মেটানোর দাবি মন্ত্রীর

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-10-28 at 16.48.12

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১০০ দিনের কাজের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে এল বড় রাজনৈতিক জয়। কেন্দ্রের আর্জি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশকেই মান্যতা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে রাজ্যের জন্য খুলে গেল কেন্দ্রীয় অর্থপ্রাপ্তির দরজা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রায় তৃণমূলের কাছে এক বড় হাতিয়ার, যা রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

এই রায়ের পরই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়ার বিশদ হিসাব তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০,৩৪৪ কোটি টাকা, আর তার আগের বকেয়া ৬,৯১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রের কাছে।

এদিন মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের ১৯টি জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছিল। তারা জানিয়েছিল, প্রথাগত ভাবে ৫ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার অনিয়ম হয়েছে। পরে আমাদের পর্যালোচনায় আরও ২ কোটি টাকার হিসাব পাই। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার মতো নয়ছয়। কিন্তু এই কারণে ৫০ হাজার কোটির টাকা আটকে রাখা অন্যায়”।

প্রদীপ মজুমদার এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতি ঢেকে রাখা হচ্ছে। গুজরাটে গ্রামের উন্নয়ন মন্ত্রীর ছেলে ১০০ দিনের টাকার দুর্নীতিতে জেলে গেছেন। সেখানে ৭১ কোটি টাকার নয়ছয়। উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৪৯ কোটি, বিহারে ১৭ কোটি ৭৬ লক্ষ, মহারাষ্ট্রে ১৫ কোটি টাকার অপব্যবহার হয়েছে। এগুলোও সব ১০০ দিনের কাজের টাকা”।

তাঁর কথায়, “বাংলাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের ন্যায়ের লড়াইকে সম্মান জানাল”। 

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মামলার রায় তৃণমূলকে যেমন প্রশাসনিক স্বস্তি দিয়েছে, তেমনই দিল নতুন রাজনৈতিক ‘অক্সিজেন’।